প্রসঙ্গত,হাওড়ার (Howrah)বালির নিশ্চিন্দা আনন্দ নগরের পাড়ার বাসিন্দা। একই পরিবারের ওই দুই গৃহবধূ হুগলির শ্রীরামপুরে শীতের পোশাক কিনতে যাবে বলে বেরিয়েছিল তাদের সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে। আর এর পর বাড়ি ফেরেনি তারা। দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পর না ফেরার খোঁজ খবর শুরু হয়। কিন্তু তাদের সন্ধান না মেলায় পরিবারের পক্ষ থেকে দ্বারস্থ হয় নিশ্চিন্দা থানায়।
আর এর পরেই ওই দুই গৃহবধূর মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ চালায় খোঁজ। সেই সময় অনন্যার কললিস্টে এক অচেনা নাম্বার দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। সেই নাম্বারের সূত্র ধরেই পুলিশ জানতে পারে সুভাষ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে নিখোঁজের দিন কথা হয় তাদের। এর পরেই পুলিশ সুভাষের বাড়ি যায় এবং সেখানে সুভাষের সন্ধান মেলেনি।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে কর্মকার বাড়ি সংস্কারে সুভাষ ও শেখার নামের দুই রাজমিস্ত্রি কাজ করছিলো। আর সেই সময়েই তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। কিন্তু ওই দুই গৃহবধূ ও তাদের সন্তানকে কোথায় রাখা হয়েছে তার সন্ধান চালায় পুলিশ।অবশেষে হাওড়া থেকে পালিয়ে যাওয়া এক শিশু সহ দুই মহিলাকে আসানসোল স্টেশন থেকে উদ্ধার করলো হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ।
আরো পড়ুন :- কয়লা পাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রর জামিনের আবেদন খারিজ, ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ
জানা গিয়েছে গত ১৫ ই ডিসেম্বর এরা দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে মুম্বাই পালিয়ে গিয়েছিলো।এরপর পরিবারের তরফে নিশ্চিন্দা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্তে নেমে বুধবার নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ এক শিশু সহ দুই মহিলাকে উদ্ধার করেছে।এর পাশাপাশি ওই দুই রাজমিস্ত্রিকেও উদ্ধার করে পুলিশ।