সংবাদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- জীববৈচিত্র্য নিয়ে সারা পৃথিবী জুড়েই কাজ হচ্ছে। আমাদের চারপাশের প্রতিবেশকে নানা কাজে লাগিয়ে জীবনের মান উন্নয়ন এর অন্যতম লক্ষ্য।এই রাজ্যেও সম্প্রতি রাজ্য সরকার গঠন করেছেন জীববৈচিত্র্য পর্ষদ। প্রতিটি ব্লকে একটি করে জীববৈচিত্র্য পার্ক গড়ে তোলার কাজ সবে শুরু হয়েছে। এই উদ্দেশ্য পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের বিখ্যাত হয়ে ওঠা আমরালদিঘি পরিদর্শন করলেন রাজ্য ও জেলার সরকারি আধিকারিকরা। ছিলেন সভাধিপতিসহ পর্যটন দপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা।
খণ্ডঘোষ ব্লকের বেরুগ্রাম থেকে প্রায় ৩-৪ কিলোমিটার গেলেই আমরালদীঘি ৷ পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম চড়ুইভাতির জায়গা আমরাল দীঘি৷ রয়েছে বয়ে চলা বিশাল দীঘি।বিশাল আকারের দীঘি চারটে ভাগে বিভক্ত হয়ে বিস্তৃত। দীঘি আর সবুজ বনানী, সঙ্গে নানা পাখির কলতান, মন ভাল করে দেওয়ার মত এক পরিবেশ খণ্ডঘোষ ব্লকের আমরাল দীঘি ৷ প্রায় দু দশক ধরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করে আসছে এই আমরাল দীঘি ৷ আর শীতে অন্য মাত্রা পায় আমড়ালের রূপ ৷ চড়ুইভাতির জন্য ইতিমধ্যেই ভিড় জমছে।পার্ক ছাড়াও কর্মসংস্থান ও পর্যটনের সম্ভাবনা রয়েছে এই প্রকল্পে।এককথায় বহু উদ্দেশ্য সাধিত হবে।
রবিবার আমরাল দিঘিরসাথে সাথে খণ্ডঘোষ এলাকায় খণ্ডঘোষ বিল পরিদর্শনে আসেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বায়োডার্সিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিমাদ্রি শেখর দেবনাথ, রাজ্য ও জেলার পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তারা সহ ছিলেন জেলা সভাধিপতি শম্পা ধারা, বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ, খণ্ডঘোষ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সত্যজিৎ কুমার,জেলা পরিষদের দুই সদস্য অপার্থিব ইসলাম ও বিশ্বনাথ রায়, সমিতির সভাপতি অসিত বাগদি, সগরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুভেন্দু কুমার পাল সহ অনেকে।
পরিদর্শন শেষে সভাধিপতি শম্পা ধারা জানান,হাটগোবিন্দপুর,মেমারির মত এখানেও এই ধরণের পার্ক গড়া হবে।বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ জানান,এই প্রকল্পের ফলে আয় বাড়ার সুযোগ আসবে।