নীলেশ দাস, আসানসোল:- রবিবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের (Asansol) কেন্দা এলাকায় পরিতক্ত খনি (Abandoned Mine)গর্ভে ফের জ্বলে উঠল আগুন। গত শনিবার মধ্যরাত থেকে কেন্দা কোলিয়ারীর বন্ধ ২ নং পিঠে প্রচন্ড কালো ধোয়া দেখা যায় এবং রাত থেকে সেই ধোয়া রুপান্তরিত হয় ভয়াবহ আগুনে।এই আগুনকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় কেন্দা এলাকায়। মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে আগুনের লেলিহান শিখা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
রবিবার ভোররাত থেকে কেন্দা কোলিয়ারীর (Kenda Colliery) বন্ধ ২ নম্বর পিটে প্রচন্ড কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিলো। সেই ধোঁয়া রূপান্তরিত হল ভয়াবহ আগুনে। গত ২০১৭ সালে এইরকমই আগুন ও ধসের জেরে কেন্দা গ্রামের একাংশকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিলো নিকটবর্তী বিদ্যালয়গুলিতে। আগুন নিভতেই আবার তাঁরা ফিরে যায় নিজ নিজ বাড়িতে। বারবার আগুন ও ধসের জেরে আতঙ্কিত গোটা গ্রামের মানুষ।
কেন্দা গ্রাম রক্ষা কমিটি বারবার পুনর্বাসনের দাবি জানালেও মেলেনি পুনর্বাসন। তবে এবার যে জায়গায় আগুন লেগেছে সেটি বিস্তীর্ণ ফাঁকা এলাকা। তবে কাছেপিঠে রয়েছে শালডাঙ্গা গ্রাম। স্থানীয়দের আশঙ্কা মাটির তলের ওই আগুন হয়তো ওপর থেকে নিভিয়ে দেওয়া হবে। তবে আগুন নিভে গেলে ভূগর্ভস্থ কয়লা ছাই হবে এবং শূন্যস্থান তৈরি হবে। তখনই ধ্বস নামতে পারে এলাকায়।
তবে ওই আগুন নেভানোর জন্য মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছে ইসিএল কর্তৃপক্ষ।বলে জানা গেছে।কেন্দা গ্রাম রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে জানা গেছে , 'এই আগুন নিত্য নৈমিত্যিক ঘটনা। প্রথমে আগুন জ্বলবে। তারপর আগুন নেভাতে মাটি চাপা দিয়ে দেবে। সেই কারণে দীর্ঘদিন পুর্নবাসন চেয়ে আসছে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের মানুষজন।
আরো পড়ুন:-পৌর নিগম নির্বাচনের আগে আসানসোলে বড়সড় ভাঙন কংগ্রেস শিবিরে
এই নিয়ে অনেক চিঠি করা হয়ছে। ২০১৭ সালে একই ঘটনা ঘটে। সেই সময় ওই এলাকার বাসিন্দাদের কেন্দা হাইস্কুলে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন ম্যানেজমেন্ট কোনও কথাই কানে তুলছে না। এখানে প্রায় দেড়শো পরিবার রয়েছে।