নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব বর্ধমান:- রাজনৈতিক মোকাবিলায় ব্যর্থ বিজেপি নিজেদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি বা সি বি আইকে ব্যবহার করছে।বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে সেই ট্রাডিশন সমানে চলছে। যে অর্থলগ্নিকারি সংস্থার মামলার ঘটনায় পুর প্রশাসককে সিবিআই গ্রেফতার করেছে সেই কেসের চার্জশিট অনেক আগেই জমা পরে গিয়েছিল এবং পরে সাপ্লিমেন্টারী চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
বর্ধমান পৌরসভার পুর প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তারের ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দলের জেলা সভাপতি ও বর্ষীয়ান বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এইকথা বলেন। আজ এই ইস্যুতে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় কালীবাজারে পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা দপ্তরে।
প্রসঙ্গত, গতকালই বর্ধমান সানমার্গ চিটফান্ড কান্ডে তাকে গ্রেপ্তার করে সি বি আই। প্রায় চারমাস আগে দলের পুরনো নেতা ও প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নতুন প্রশাসক মন্ডলী বর্ধমান পুরসভার দায়িত্ব নেয়। তার আগে নির্বাচিত পুরবোর্ডের কার্যকাল শেষ হবার পর সরকারি আধিকারিক বোর্ড চালিয়েছেন তিনবছর।
নতুন প্রশাসকমন্ডলী দায়িত্ব নেবার পর শহরজুড়ে নানা কাজকর্ম শুরু হয়। হঠাৎই সি বি আই প্রণব বাবুকে গ্রেপ্তারের পর জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ও কৌতুহল ছড়ায়। আজ এ নিয়ে দলের বক্তব্য জানালেন জেলা সভাপতি।
তিনি আরো জানান, গোটা বিষয়টি দলের উচ্চ তথা রাজ্য নেতৃত্বের নজরে আছে। দল নির্দেশ দিলে তারা রাস্তায় নামবেন। তিনি বলেন, পুর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর সি বি আই-এর এই অতি সক্রিয়তা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, নতুন পুরবোর্ডের দায়িত্ব গ্রহণের পরে বর্ধমানে দলের মধ্যেও মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে।
কিন্তু রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় পরিস্কার জানান, এই পরিস্থিতিতে গোটা দলই প্রণববাবুর সঙ্গে আছে। বর্ধমান শহরের নাগরিকদের যাতে পৌর পরিষেবা পেতে অসুবিধা না হয় সেকারণে রাজ্য সরকার আগামী আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে নতুন পৌর প্রসাশক বসানোর কথা ভাবছে বলে জানান রবীন্দ্রনাথ বাবু।
বিজেপির বিরুদ্ধে সিবিআইকে ব্যবহার করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সাধারন সম্পাদক ডাঃ সৌমরুপ ব্যানার্জি জানান, সিবিআই এর কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমান আছে তাই সিবিআই তাকে গ্রেফতার করেছে। সিবিআই হাইকোর্টের নির্দেশে বিভিন্ন বেআইনি অর্থলগ্নিকারি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। তৃণমূলের যদি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকা তাহলে তারা কোর্টে যেতে পারে।