Type Here to Get Search Results !

প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি কে চিঠি দিয়েও কোনরূপ সুরাহা হলো না বিশ্বভারতীর আলাপিনী মহিলা সমিতির

শুভময় পাত্র,বীরভূম:-শুধুমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই কিংবা রাজ্যপাল নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি কে চিঠি দিয়েও কোনরূপ সুরাহা হলো না বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) আলাপিনী মহিলা সমিতির (Alapini Mahila Samiti)। পূর্বেই নোটিশ দিয়ে ঘর ছাড়ার কথা জানিয়েছিল বিশ্বভারতী (Visva-Bharati)। ঘর না ছাড়ায় বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে সিল করা হয়েছিল আলাপিনী মহিলা সমিতির (Alapini Mahila Samiti) ঘর। অবশেষে এদিন আলাপিনী মহিলা সমিতির ঘরে ব্যবহৃত আসবাবপত্র হস্তান্তর করলো বিশ্বভারতী।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) সময় থেকে চলে আসা শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের আলাপিনী মহিলা সমিতি (Alapini Mahila Samiti)। সেই সময় থেকেই বিশ্বভারতীর বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতেন এই মহিলা সমিতির সদস্যরা, তাদের বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) উন্নয়নের কাজেও নিজেদের নিয়োজিত করতেন তারা। 

শান্তিনিকেতনের (Santiniketan)এই আলাপিনী মহিলা সমিতি (Alapini Mahila Samiti) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) ভাইজি ইন্দিরা দেবীর প্রত্যক্ষভাবে নিবিড় যোগাযোগ ছিল। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেনের মা অমিতা সেন আলাপিনী মহিলা সমিতির সভানেত্রী ছিলেন। ১০৫ বছরের এই সংগঠন অবশেষে বিলুপ্তির পথে।

ঘটনার সূত্রপাত গত বছর। বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যোগদান করার পর থেকে একের পর এক বিতর্ক পিছু ছাড়ছেনা বিশ্বভারতী কে। উপাচার্যর নির্দেশে প্রথমে আলাপিনী মহিলা সমিতি কে চিঠি দিয়ে বলা হয় ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য। 

সমিতি ঘর না ছাড়ায়, গত বছরই বিশ্বভারতীর আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) কে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল এবং এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়ে জানিয়ে ছিলেন শান্তিনিকেতনের শতাব্দী প্রাচীন আলাপিনী মহিলা সমিতি (Alapini Mahila Samiti)। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি।


গত বছরই বিশ্বভারতী (Visva-Bharati) তরফ থেকে আলাপিনী মহিলা সমিতির ঘরে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আলাপিনী মহিলা সমিতির ব্যবহৃত আসবাবপত্র বের করে বিশ্বভারতী অন্যত্র সরিয়ে রাখে। সেই সমস্ত জিনিস গুলি আজ বিশ্বভারতীর তরফ থেকে আলাপিনী মহিলা সমিতি সদস্যদের হস্তান্তর করা হয়। 

উপাচার্য আসে, উপাচার্য যায়! তবে এ ধরনের ব্যবহার বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী করবেন তা আমরা কেউ ভাবতে পারছিনা। সময়ের অপেক্ষায় ছেড়ে দিলাম, ভবিষ্যৎ কথা বলবে। এমনটাই দাবি আলাপিনী মহিলা সমিতির সদস্যদের।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad