সোমনাথ মুখার্জী, নীলেশ দাস রানীগঞ্জ:- শুক্রবার রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটলো রানীগঞ্জের একটি বেসরকারি সংস্থায়। গতকাল রাত ১: ৩০ মিনিট নাগাদ রানীগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্প এলাকার শ্যাম সেল কারখানার একটি ছাই ভর্তি ট্যাঙ্ক হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ছাইয়ের নিচে চাপা পড়ে তিন শ্রমিক। তবে রক্ষা পেয়েছেন শিবনাথ রাম নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় নিখোঁজ তিন শ্রমিক হলেন রানীগঞ্জের বল্লবপুর এলাকার বাসিন্দা তন্ময় ঘোষ (৪২), আন্ডালের হরিশপুরের বাসিন্দা দিলীপ গোপ (৪৩), ও বাঁকুড়ার পলাশডাঙ্গার বাসিন্দা শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য (৩৬)। ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। কারখানার শ্রমিকরা এ ঘটনার জন্য কারখানার কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।
পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেড যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নিয়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে শ্রমিক নেতা নির্মল পাল বলেন, তারা এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। তারা বলেন, যেহেতু বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে, তাই ধ্বংসস্তূপ থেকে দেহ বের করতে দেরি হচ্ছে।
আরো পড়ুন:- দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে হদিশ মেলায় উদ্বিগ্ন ভারত, জরুরি বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর
একই সাথে কৈলাসপতি খাঁ নামে এক শ্রমিক জানান, এ ঘটনার জন্য শ্যাম সেল কারখানার কর্তৃপক্ষই দায়ী। তাদের অভিযোগ, শ্যাম সেল ম্যানেজমেন্ট সেলো ট্যাঙ্কের রক্ষণাবেক্ষণে মনোযোগ দেয়নি, যার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কারখানার শ্রমিক ও নেতাদের দাবি অবিলম্বে মৃতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ তাদের পরিবারের একজনের চাকরি ও 20 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে শ্যমসেল কর্তৃপক্ষকে ।
এবিষয়েই এদিন আসানসোল দুর্গাপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান তথা রানীগঞ্জের বিধায়ক তাপস ব্যানার্জী বলেন, এই ঘটনার জন্য কিছু সুবিধা ভোগী দালাল দায়ী। তারা কোম্পানির সঙ্গে মিলিত হয়ে শ্রমিক শ্রেনীকে শোষণ করছে। আজ কোম্পানির মেইনটেনেন্স এর অভাবে ও দায়িত্ব প্রাপ্ত কোম্পানির আধিকারিকদের গাফিলতির জন্য তরতাজা তিন জনের প্রাণ হারাতে হলো।
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের উচিত সংশ্লিষ্ট ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনানুগ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। পাশাপাশি দেখা উচিত এই ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে দিকে নজর দিতে হবে প্রশাসনকে। তিনি আরো বলেন, প্রাণের মূল্য কিছুতেই শোধ করা যায় না।