শুভময় পাত্র, বীরভূম:- অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের সম্মতি পেল শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ। বহু ঘাত-প্রতিঘাতের পর এদিন শেষমেষ কেন্দ্রীয় সরকারের মেডিকেল কাউন্সিলের সম্মতি এসে পৌঁছালো শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে।
প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে এই শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ঘিরে শুরু হয়েছিল নানান জল্পনা কল্পনা। বীরভূম জেলার এটি দ্বিতীয় মেডিকেল কলেজ। একটি এর আগেই তৈরি হয়েছে বীরভূমের রামপুরহাটে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতিক্রমে রামপুরহাট এর বিধায়ক আসিস বন্দোপাধ্যায় ঐকান্তিক চেষ্টায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ।
ঠিক একই রকম ভাবেই বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এর অনুপ্রেরণায় বোলপুরের পাশেই গোবিন্দপুরে তৈরি হয়েছে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ। কিন্তু এই মেডিকেল কলেজ তৈরি হওয়ার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এই মেডিকেল কলেজ যাতে কোনরকম সরকারি স্বীকৃতি না পাই তার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল বলে অভিযোগ। কেন্দ্রকে এ বিষয়ে একটি লিখিত আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী বলে অভিযোগ। তিনি বলেছিলেন একই জেলাতে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে দুইটি মেডিকেল কলেজ কি করে সম্মতি পায়।
অন্যদিকে মেডিকেল কলেজ এর কর্ণধার মলয় পিঠের নাম করে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মেডিকেল কলেজ বলেও তিনি ভৎসনা করেছিলেন। কিন্তু মাঝে এই মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মেডিকেল কাউন্সিল সদস্যরা।
তাদের দেওয়া রিপোর্টের পড়ে পড়ে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের সম্মতি দেওয়া চিঠি এসে পৌছালো মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। এতে স্বভাবতই খুশি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে বোলপুর তথা বীরভূম জেলার মানুষ।
আরো পড়ুন:- আবারো ছাত্র বিক্ষোভ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে মলয় পিট জানিয়ে দেন আগামী দু'মাসের মধ্যেই জেলার সমস্ত মানুষ চিকিৎসা বিষয়ক সমস্ত রকম সুবিধা এই হাসপাতাল থেকে পাবেন। তাদের কে আর চিকিৎসার জন্য বাইরে কোথাও যেতে হবে না।