ওয়েবডেস্ক:- সোমবার রাতে ফুটবলপ্রেমীদের চোখ ছিল ফ্রান্সে এক বর্ণিল সন্ধ্যায়। কে জিতবেন ব্যালন ডি’অর? নাম গিয়ে ঠেকেছিল মাত্র দুটিতে। বায়ার্ন মিউনিখের গোলমেশিন পোলিশ স্ট্রাইকার রবের্ত লেওয়ানডস্কি আর পিএসজির আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি।আর সেই যুদ্ধে লেওয়ানকে হারিয়ে সপ্তমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জয় করলেন মেসি।এই বছরের তালিকায় বায়ার্ন তারকা ছাড়াও আরও ছিলেন চেলসির ইতালিয়ান মিডফিল্ডার জর্জিনিও, রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা ও চেলসির ফরাসি মিডফিল্ডার এনগোলো কন্তে। তবে মেসির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন লেওয়ানডস্কি।
34 বছর বয়সী মেসি তার দেশ আর্জেন্টিনাকে এই বছর কোপা আমেরিকা জিততে সহায়তা করেছিলেন। এবং 2021 সালেই, তিনি 40টি আন্তর্জাতিক গোল করেছিলেন। যার মধ্যে ২৮টি বার্সেলোনার হয়ে, চারটি তার নতুন ফরাসি ক্লাব পিএসজি এবং আটটি আর্জেন্টিনার হয়ে।
সারা বিশ্বের 180 জন সাংবাদিক ব্যালন ডি'অর বিজয়ীকে বেছে নিতে ভোট দিয়েছেন। 2020 সালে, করোনা মহামারীর কারণে কোনও পুরস্কার দেওয়া হয়নি।এক বছর বাদে ২০০৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মেসি বা রোনাল্ডো এই পুরস্কার জিতেছেন । 2018 সালে এটি ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার লুকা মডরিচ জিতেছিলেন।মেসি ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বেশি বার এই পুরস্কার জিতেছেন । মেসি এর আগে ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৯ সালেও এই পুরস্কার জিতেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৬ সালে প্রথমবার চালু হয় ব্যালন ডি’অর। তখন কেবল ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে দেওয়া হতো এই পুরস্কার। ১৯৯৫ সাল থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৭ সাল থেকে সেটি দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় খেলা ফুটবলারদের।
প্যারিসে সোমবার রাতের সেই জমকালো অনুষ্ঠানে মেসি বলেন, ‘এখানে আবার আসতে পারাটা অবিশ্বাস্য। দুই বছর আগেও ভেবেছিলাম এবারই শেষ। কোপা আমেরিকা জয়ই চাবিকাঠি।’পুরস্কার জিতেই দম্ভ করেননি মেসি। পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী লেওয়ানডস্কির প্রশংসাই ঝড়ল তার মুখে। মেসি বলেন, ‘সবাই জানে এবং আমরাও একমত যে তুমিই গত বছর এ পুরস্কার জিতেছ।’