নিজস্ব প্রতিনিধি:- বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের ফার্মেসিতে ওষুধ সঙ্কট। ডাক্তারি প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লেখা থাকলেও মিলছে না সব ওষুধ। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের মত সাধারণ ওষুধের পাশাপাশি জীবনদায়ী ক্যানসারের ওষুধ অমিল। মিলছে না শিশুদের ওষুধও বলে অভিযোগ।
বর্ধমান হাসপাতালের বহির্বিভাগের নীচে ফার্মেসিতে প্রতিদিন ব্যাপক ভিড় হয়। বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসা করিয়ে এসে সাধারণ মানুষ ওষুধের জন্য ভিড় জমান। দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে মিলছে না ওষুধ। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে রোগী ও পরিজনদের মধ্যে। ওষুধ না পেয়ে অনেকেই হাসপাতালের সুপারের অফিসে দরবার করছেন।
কিন্তু, তাতেও কোন লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। কেতুগ্রাম থেকে আসা নীলুফা ইয়াসমিন জানালেন, ডাক্তার ওষুধ লিখছেন কিন্তু ঘন্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও বেশিরভাগ ওষুধ পাওয়া যায়নি।তাঁর আরও দাবী, প্রায় চার মাস ধরে এই ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। বাইরে থেকে বেশি দাম দিয়ে আমাদের ঔষধ কেনার ক্ষমতা নেই । খেটে খাওয়া পরিবারে এত দাম দিয়ে ওষুধ কেনা খুবই সমস্যার বলে তিনি জানান।
রোগী ও তাঁর পরিজনদের দাবী, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের মত সাধারণ ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রসূতি মায়েদের যে ওষুধ প্রয়োজন হয় তাও অমিল। কাউন্টার থেকে ‘সাপ্লাই নেই’ বলে রোগীদের ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েক মাস ধরেই এই সমস্যা চলছে বলে রোগীদের দাবী।
বর্ধমান হাসপাতালে পরিষেবা নিতে আসা আরেকজন নাজমল হোদা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ তিনঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ডাক্তার দেখাই। ডাক্তারবাবু চারটি ঔষধ লিখলে একটা ঔষধ হাসপাতালে পাওয়া যায়।বাকি তিনটি সাপ্লাই নেই বলে বাইরে থেকে কিনতে বলা হয়। আমাদের যদি বাইরে থেকে ঔষধ কেনার ক্ষমতা থাকতো তাহলে আমরা কেন সারাদিন ধরে হাসপাতালে পরে থাকবো। সরকার বলছে সমস্ত ঔষধ হাসপাতালে বিনামূল্যে পাওয়া যাবে, কিন্তু আমরা পাচ্ছি কই?
এই প্রসঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, বর্ধমান হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতি কথাটি হলো অর্ধসত্য। কিছু ঔষধ পেতে সমস্যা হচ্ছে , তবে এক দুই দিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে বলে দাবি করেন হাসপাতাল সুপার। তিনি জানান, ওষুধ আছে কিন্তু সাপ্লাই বর্তমানে একটু কম হওয়ায় কিছু ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালের চাহিদা মত ভেন্ডাররা ঔষধের জোগান দিতে পারছে না। তবে তার দাবি খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।