এবারে প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের সোনার গহনা থাকবে কেষ্ট কালির আভরণে। প্রত্যেকবারই বীরভূম জেলা তৃণমূল দলীয় কার্যালয় অফিসে পূজিত হন দেবী শ্যামা। এবারেও তা কোন অংশে বিকল্প নয়। দলীয় কর্মী ও ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হওয়ার কারণে মায়ের আভরণ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। মা কালীর শরীর ভরে উঠছে সোনার গহনা ই।
আগের বারে যে পরিমাণ সোনার গহনা ছিল, এবারে তা অনেকাংশেই বেড়েছে। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্র শিল্প মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক মাননীয় চন্দ্রনাথ সিনহা মহাশয় এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলন করে সকলকে জানিয়ে দেয় এবারে মায়ের গায়ে গয়না থাকছে ৫৪০ ভরি।
দিনের পর দিন ভক্তদের পাশাপাশি দলীয় কর্মী সমর্থকদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হওয়ার কারণেই এই ভাবেই বেড়ে চলছে মায়ের স্বর্ণালঙ্কার এমনটাই মনে করছেন রাজ্যের মন্ত্রী। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এমনিতেই মাতৃভক্তির নিদর্শন ইতিমধ্যেই দিয়েছেন জেলার বিভিন্ন সতীপীঠ গুলিতে তা সকলেই সংবাদ মাধ্যম মারফত অবগত হয়েছেন।
এবার তার নিজের জায়গায় তার দলীয় কার্যালয় অফিসেই দেবীকে সাজিয়ে তুলবেন সোনার গহনাই। প্রথম বছর ১৮০, দ্বিতীয় বছর ২৬০, তারপর ৩৫০, তারপর একেবারে লাফ দিয়ে ৫৪০ ভরি সোনার গহনাই সেজে উঠবে দেবী মায়ের সাজ।
আরোপড়ুন:- AIKKMS এর আহ্বানে কিষাণ সংগ্রাম সপ্তাহ পালন করা হল বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে
তারই প্রস্তুতি এখন চরমে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। যেহেতু বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrat Mandal) এলাকায় প্রসিদ্ধ 'কেষ্ট দা' নামে তাই এই কালী ঠাকুরকে 'কেষ্টকালী' বলে অনেকেই নাম দিয়ে থাকেন। আর সেই নামেই বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে বোলপুরের দেবী শ্যামা।