পূর্ব বর্ধমানের (East Bardhaman) বড়বেলুন গ্রামের বাসিন্দা বছর ষাঠেকের প্রৌঢ় দাশরথি ভট্টাচার্য। পেশায় গৃহ শিক্ষকতার পাশাপাশি পূজার্চনা নিয়ে সময় কাটান তিনি ।
ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশোনা করতে করতে গোঁফ রাখার শখ জাগে দাশরথি বাবুর মনে। বড় গোঁফ রাখার শতচেষ্টা করলেও ধর্মীয় নিয়মের কারণে বহুবার তাকে গোঁফ কাটতে হয়েছে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর দাশরথি বাবুর গোঁফ এখন ৩ ফুট। চায়ের দোকানের চর্চার বিষয় এখন গোঁফ মাস্টার দাশরথি।
তিনি বলেন, প্রথম প্রথম আমার স্ত্রীর সঙ্গে মানুষজন হাটে বাজারে অনেকেই মজা করত। স্ত্রীও মাঝেমধ্যেই অভিমান করত। গোঁফ কাটার পরামর্শ দিত ।কিন্তু আমার বড় গোঁফ রাখার প্রধান শখ দেখে পরিবারের পক্ষ থেকে আর কোনো সমস্যা হয় না।
রীতিমতো সরষে ও নারকেল তেল দিয়ে গোঁফের পরিচর্যা করেন তিনি। তবে তিনি বাড়িতে কোন কাঁচি রাখেন না। তার ভয় রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় যদি কেউ তার গোঁফে কাঁচি চালিয়ে দেয় তাহলে তার শখটাই বৃথা হয়ে যাবে ।
আরো পড়ুন:- প্রায় তিন কোটি টাকার সোনার গয়না দিয়ে সাজতে চলেছে 'কেষ্ট কালী'
তবে দাশরথি বাবুর ইচ্ছে মৃত্যুর সময়কাল পর্যন্ত তিনি গোঁফে কাঁচি ঠেকাবেন না। দাশরথি বাবু তিন ফুটের গোঁফ এখন এলাকায় গোঁফ মাস্টার হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। বর্তমানে তার এই শখকে পূরন করতে স্ত্রী রেনুকা ভট্টাচার্য্য দাশরথী বাবুকে সাহায্য করেন।