Type Here to Get Search Results !

দুস্থ মেধাবী ছাত্রীর পাশে দাঁড়ালেন অন্ডাল থানার ওসি শান্তনু অধিকারী


সোমনাথ মুখার্জী,অন্ডাল:- সরকারি নির্দেশে 16 নভেম্বর খুলল সরকারী বিদ্যালয়গুলি।কিন্তু স্কুল খুললেও স্কুলে যাওয়ার জন্য বইখাতা নেই,তাই আজ স্কুলে যেতে পারল না এক ছাত্রী। তা শুনেই  পাশে দাঁড়ালো অন্ডাল থানার পুলিশ আধিকারিক। হাসি ফুটল  ছাত্রীর মুখে।

ঘটনাটি  অন্ডাল থানার গোসাইডাঙ্গা এলাকার। ছাত্রীর  নাম মুনমুন বাউরি। অন্ডাল গার্লস হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।বাবা বহুদিন আগেই মারা গেছেন।ছয় মাস আগে পরিবারের একমাত্র উপার্জিনকারী দাদা অক্ষয় বাউড়ি ( 20 বছর) কাজ করতে গিয়ে একটি চোখ হারিয়েছেন। 

বর্তমানে  মা ( ক্ষমা বাউড়ি ) এদিক ওদিক পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালায়। তাতেই পঠন-পাঠন চলছিল মুনমুনের। আবার স্কুল খোলা হয়েছে। কিন্তু আজ বই-খাতা না থাকার কারণে সে স্কুলে যেতে পারছিল না। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ তাই স্কুল খুলতেই আবার সেই পুরনো বন্ধুদের সাথে সাক্ষাৎ, মাস্টার মশায় ,দিদিমনি সকলের বকুনি,ভালোবাসা ফিরে পাবার যে উৎসাহ সব যেন জল ঢেলে দিয়েছে তার পরিবারের আর্থিক সংকট। তাই মন খারাপ করে বসে ছিল সে। 

এই খবর যায় অন্ডালের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ' অ‍্যামিস 'এর কাছে। তারা অন্ডাল থানার বড়বাবু শান্তনু অধিকারীকে বিষয়টি জানায়। সঙ্গে সঙ্গে থানাতে তাকে ডেকে সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা করেন ওসি শান্তনু অধিকারী। 

ফের স্কুল যাবার আনন্দে অম্লান হাসি ফুটে ওঠে মুনমুনের চোখে মুখে। এইটুকু মেয়ে কিন্তু এর ফাঁকে সে পুলিশ কাকুদের ধন্যবাদ জানাতে একটুও ভুল করেনি । মুনমুন জানায় আজ পুলিশ কাকুর জন্যই সে আবার স্কুলে যাবে । 

আরো পড়ুন:- মেমারি-১ ব্লকের প্রাণী সম্পদ বিভাগের উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্টীর মহিলাদের হাতে হাঁস-মুরগির বাচ্ছা তুলে দেওয়া হল

যদিও এই ভাবে একটা দুস্থ্য মেধাবী ছাত্রীকে সাহায্যের জন্য 'অ‍্যামিস' ও প্রশংসার যোগ্য। কারন তারা না থাকলে থানার বড়বাবু হয়তো জানতেই পারতেন না এই ভাবে একটা গরিব ছাত্রী শুধু খাতা বইয়ের অভাবে স্কুল যেতে পারছে না ।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad