ওয়েবডেস্ক:- সম্প্রতিকালে উত্তেজনা বেড়েছে চীন-তাইওয়ানের মধ্যে। সম্প্রতি চীন তাইওয়ানের আকাশসীমায় টানা চার দিন রেকর্ডসংখ্যক সামরিক বিমান পাঠায়, যা নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।নিজেদের আকাশসীমায় চীনা যুদ্ধবিমানের উপস্থিতির কারণে তাইওয়ান অত্যন্ত ক্ষিপ্ত। চীন হামলা চালিয়ে দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিল চীন তাইওয়ানে হামলা চালালে তাদের অবস্থান কি হবে ।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, যদি চীন তাইওয়ানে হামলা চালায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের রক্ষায় এগিয়ে আসবে।তাইওয়ানের প্রতিরক্ষার বিষয়ে বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, এটি করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
সম্প্রতি চীন তাইওয়ানের আকাশসীমায় টানা চার দিন রেকর্ডসংখ্যক সামরিক বিমান পাঠায়, যা নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
উত্তেজনার মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলাপের পর ‘তাইওয়ান চুক্তি’ মেনে চলার ক্ষেত্রে সম্মত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।তাইওয়ানের নিজস্ব সংবিধান, সামরিক বাহিনী এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা রয়েছে। অঞ্চলটি নিজেকে সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে করে। অন্যদিকে চীন দাবি করে তাইওয়ান তাদের নিজস্ব ভূমি।
আরো পড়ুন:- Man U-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আইপিএলে দল কিনতে পারেন দীপিকা এবং রণবীর
এদিকে বাইডেনের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং। চীনের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চীনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে সমঝোতার কোনো জায়গা নেই।তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড মনে করে চীন। কিন্তু তাইওয়ান দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে আসছে। চলমান উত্তেজনার জন্য বেইজিংকে দোষারোপ করে আসছে তাইওয়ান। অন্যদিকে তাইওয়ানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে চীন।