নিজস্ব প্রতিনিধি:- চারদিকে হানাহানি আর হিংসার মাঝে আশা আর পড়শিয়ানার চর জেগে ওঠে এই বাংলায়। আর সেটাই এই বাংলার বহমান ঐতিহ্য।এই বাংলা রবি ঠাকুরের, এই বাংলা নজরুলের।এই বাংলা লাললের, এই বাংলা হাসনের।
ওপার বাংলায় যখন চরম আক্রোশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছে।তখন পাশাপাশি শুভবুদ্ধিরও পদধ্বনিও শোনা যাচ্ছে। এমনটা ঘটে এদেশে।যখনই বিভেদের ফাটল চওড়া হতে চেয়েছে মানুষই গড়ে তুলেছেন নতুন মানববন্ধন।
এমনই এক সম্প্রীতির নজির রাখলেন বর্ধমান শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আলুডাঙ্গার মানুষ। এখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষর আজ পড়শি হিন্দু ভাইয়েদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিলেন লক্ষীপুজোর সামগ্রী।
আজ রাত আর কাল দিনভর কোজাগরী লক্ষীপুজো। এই পুজো এখন ঘরে ঘরে প্রচলিত। আজ পড়শিদের হাত থেকে এমন উপহার পেয়ে আপ্লুত এখানকার হিন্দু পরিবারের কিছু মানুষ। তারা জানাচ্ছেন, এই ভালবাসা তাদের মন জয় করেছে। বারোমাস পাশাপাশি বাস করি আমরা। একের উৎসব অন্যের কাছেও আনন্দের।
অন্যদিকে যারা এই সৌভ্রাতৃত্বের নজির রাখলেন তারা জানালেন, এমনটাই হয়ে আসছে এই এলাকায়।ঈদে হিন্দু ভাইয়েরে আমাদের শিমাই,লাচ্চা, ফল উপহার দেন। আমরাও আজ ফল ও পুজোর কিছু সামগ্রী ওদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলাম। খুব আনন্দ পেলাম এ কাজ করে।
আরো পড়ুন:- এক বৃদ্ধকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে বর্ধমান থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করল এক যুবককে
বর্ধমানে দীর্ঘ দিনের হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে যেমন সর্বমঙ্গলা মন্দির তেমনই আছে খক্কর শাহের মাজার। তাই এখানে দুর্গাপুজার কমিটির প্রধান হন কোনো নুরুল।আবার মহরম কমিটির কর্মকর্তা হন কোনো স্বপন ।আলুডাঙ্গার এই পড়শিয়ানা সেই বর্ধমানকে আবার তুলে ধরল।