Type Here to Get Search Results !

গ্রামের বাড়়ি থেকে কিছুটা দূরেই সেচখাল থেকে উদ্ধার অস্ত্র ভর্তি ব্যাগ! হাওড়ার ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় নয়া মোড়


নিজস্ব প্রতিনিধি:- হাওড়ার ব্যবসায়ী খুনে নয়া মোড়। সেচখাল থেকে উদ্ধার হয় একটি কালো ব্যাগ।ব্যাগের মধ্যে ছিল দুটি পিস্তল,পাঁচ রাউণ্ড গুলি, একটি ভোজালি ও একটি প্যাণ্ট।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সব্যসাচী মণ্ডল তার বন্ধু রাজবীর সিংকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি দেরিয়াপুরে যান।রাতে বাড়ির ছাদে রান্না হচ্ছিল। সেই সময় সব্যসাচী মণ্ডলের গাড়ির চালক আনন্দ সাউ তাকে ছাদ থেকে নীচে নিয়ে যায় কেউ ডাকছে বলে।

তারপরেই তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন সব্যসাচীর বন্ধু রাজবীর সিং ও রাধুনি পার্থ সাঁতরা।তারাই সব্যসাচীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান। বর্তমানে সব্যসাচী মণ্ডলের পরিবার থাকেন হাওড়ার শিবপুরে।সেখানে তার ত্রিপলের ব্যবসা আছে।

এই ঘটনায় গাড়ির চালক ও রাধুনি  দু'জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। শনিবার বর্ধমান পুলিশ মর্গে  মৃতের বাবা দেবকুমার মণ্ডল  দাবি করেন,তাদের পরিবারে সম্পত্তি নিয়ে চরম বিবাদ চলেছে। ২০১৬ সালে তার মায়ের মৃত্যুর পর তার ভাইপোরা তার ছেলেকে শ্মশানে বেধড়ক মারধর করে। তার ধারণা, তার দুই ভাইপো দীনবন্ধু এবং সোমনাথ সুপারি কিলার লাগিয়ে তার ছেলেকে খুন করিয়েছে।

শনিবার দুপুরে রায়নার উচিতপুর গ্রামের বাসিন্দা বিজন ঢালি তার ধানের জমি দেখতে গিয়ে একটি কালো রঙের ব্যাগ দেখতে পান।ব্যাগটি বর্ধমান কাড়লাঘাট রোডের ধারে সেচখালের জলে পড়েছিল।বিজন ঢালি বলেন,ব্যাগের চেন খোলা ছিল।তিনি ব্যাগে হাত দিয়ে দেখেন ব্যাগটি বেশ ভারি।ব্যাগের উপরে একটি প্যাণ্ট ছিল পলিথিনে মোড়া।প্যান্টটি ব্যাগ থেকে বের করতেই তিনি দেখেন পিস্তল ভরা আছে।তারপর তিনি গ্রামে ফির গিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য উৎপল মালিককে বিষয়টি জানান।এরপর পঞ্চায়েত সদস্য থানায় ও মুগরা পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানান।রায়না থানার পুলিশ গিয়ে ব্যাগটি জল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।  

মুগরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিক্রম গুহ ও পঞ্চায়েত সদস্য উৎপল মালিক জানান, ব্যাগের মধ্যে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি মোবাইল চার্জার,একটি প্যাণ্ট,পাঁচ রাউণ্ড গুলি ও একটি ধারালো ছুরি বা ভোজালি ছিল।পুলিশ ব্যাগটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।দেরিয়াপুর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে এই ব্যাগটি সেচখালে পড়েছিল।দুটি পিস্তলের মধ্যে একটি ওয়ান সার্টার ও একটি সেভেন এম এম। 

আরোপড়ুন:- পানীয় জলের দাবিতে আসানসোল পৌরনিগমে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের 

এরপরে, রবিবার প্রথমে সিআইডির চার সদস্যের টিম সব্যসাচী মণ্ডলের দেরিয়াপুরের বাড়িতে যান।সেখানে থাকা পরিবারের দুই মহিলা সদস্যাকে শুক্রবার রাতের ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসাররা।তারপর গ্রামে যান ফরেনসিক টিমের সদস্যরা।তারা ঘটনাস্থলে  ও সিড়ি ও ছাদের বিভিন্ন জায়গার নমুনা সংগ্রহ করেন।পাশাপাশি ঘটনাস্থলের  রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক টিম।টিমের সঙ্গে ছিলেন এসডিপিও( দক্ষিণ)  আমিরুল ইসলাম খান।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad