নিজস্ব প্রতিনিধি:- হাওড়ার ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল খুনে রবিবার তদন্তে এলো সিআইডি ও ফরেনসিক টিম। রবিবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার দেররিয়াপুর গ্রামে যান তদন্তকারী দল। শনিবারই ভাইয়েরাই সুপারি কিলার লাগিয়ে খুন করেছে তার ব্যবসায়ী পুত্রকে এই অভিযোগ করেন বাবা দেব কুমার মণ্ডল ।শুক্রবার রাতে রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামে রহস্যজনক ভাবে খুন হন ব্যবসায়ী সব্যসাচী মন্ডল।মৃতের বাবার দাবি, তার দুই ভাইপো সুপারি কিলার লাগিয়ে তার ছেলেকে খুন করিয়েছে। খুড়তুতো দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগ তুলেছেন তার বাবা।
বর্তমানে সব্যসাচী মণ্ডলের পরিবার থাকেন হাওড়ার শিবপুরে।সেখানে তার ত্রিপলের ব্যবসা আছে।শুক্রবার সব্যসাচী মণ্ডল তার বন্ধু রাজবীর সিংকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি দেরিয়াপুরে যান।রাতে বাড়ির ছাদে রান্না হচ্ছিল। সেই সময় সব্যসাচী মণ্ডলের গাড়ির চালক আনন্দ সাউ তাকে ছাদ থেকে নীচে নিয়ে যায় কেউ ডাকছে বলে।
তারপরেই তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন সব্যসাচীর বন্ধু রাজবীর সিং ও রাধুনি পার্থ সাঁতরা।তারাই সব্যসাচীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান।
এই ঘটনায় গাড়ির চালক ও রাধুনি দু'জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। শনিবার বর্ধমান পুলিশ মর্গে মৃতের বাবা দেবকুমার মণ্ডল দাবি করেন, তাদের পরিবারে সম্পত্তি নিয়ে চরম বিবাদ চলেছে। ২০১৬ সালে তার মায়ের মৃত্যুর পর তার ভাইপোরা তার ছেলেকে শ্মশানে বেধড়ক মারধর করে। তার ধারণা,তার দুই ভাইপো দীনবন্ধু এবং সোমনাথ সুপারি কিলার লাগিয়ে তার ছেলেকে খুন করিয়েছে।
রবিবার প্রথমে সিআইডির চার সদস্যের টিম সব্যসাচী মণ্ডলের দেরিয়াপুরের বাড়িতে যান।সেখানে থাকা পরিবারের দুই মহিলা সদস্যাকে শুক্রবার রাতের ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসাররা।তারপর গ্রামে যান ফরেনসিক টিমের সদস্যরা।তারা ঘটনাস্থলে ও সিড়ি ও ছাদের বিভিন্ন জায়গার নমুনা সংগ্রহ করেন।পাশাপাশি ঘটনাস্থলের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক টিম।
টিমের সঙ্গে ছিলেন এসডিপিও( দক্ষিণ) আমিরুল ইসলাম খান। এসডিপিও বলেন, তদন্ত চলছে।আমরা অনেকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছি।ঘটনা সম্বন্ধে তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। পজিটিভ কিছু পেলে তবে গ্রেফতার করা হবে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন।তবে সেই নিয়ে এখনো পুলিশ খুব বেশী এগোতে পারে নি বলে তিনি জানান।পাশাপাশি সুপারী কিলার দিয়ে খুন সেটাও পুলিশ তদন্তে দেখছে। তবে ফরেনসিক টিমের সদস্যরা কিছু বলতে অস্বীকার করেন।