গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার সময় গলসির ভুঁড়ির হাইস্কুল এলাকার দোকান মালিক সৈকত মোল্লা দোকান বন্ধ করে ছালালপুর গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাইকে তার সাথে একটি ব্যাগে, প্রায় ৪ ভরি সোনার অলঙ্কার, কিছু রূপোর গয়না এবং নগদ ত্রিশ হাজার টাকা ছিল। তিনি ইটারু গ্রামের হোট্টে ক্যানেলের কালভার্টে কাছে এলে দু'জন তার পথ আটকে তাকে মারধর করে। তার গহনা ও টাকার ব্যাগটি নিয়ে একটি চারচাকা গাড়ি করে চম্পট দেয়। ওই ডাকাতির ঘটনার ৭২ ঘন্টার মধ্যেই ভিন জেলা থেকে ডাকাতি হওয়া জিনিসপত্র উদ্ধারের পাশাপাশি ডাকাতি কান্ডে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।
তদন্তে নেমে ছিনতাইয়ের রাতে গলসির ছালালপুর গ্রাম থেকে ইব্রাহিম মল্লিক ওরফে রিপন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে হেপাজতে নিয়ে ডাকাতি চক্রের মূল দুই অভিযুক্তকে মুর্শিদাবাদের সালার থানা এলাকার একটি লজ থেকে গ্রেপ্তার করে । ওই রাতেই তাদের সঙ্গে সেখানকার আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছ। ধৃতরা হলেন মহম্মদ আলী সেখ ওরফে কচি, জিয়ারুল সেখ, রতন সেখ ও বিপ্লব কর্মকার।
আরোপড়ুন:- হাওড়ার ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল খুনের ঘটনায় রবিবার তদন্তে এলো সিআইডি ও ফরেনসিক টিম
কচির বাড়ি গলসি থানার শশঙ্গা গ্রামে ও ভাতার থানার বামসোড় গ্রামের বাসিন্দা হলেন জিয়ারুল। তাছাড়াও মুর্শিদাবাদ জেলার সালার থানা এলাকার বাসিন্দা রতন সেখ ও বিপ্লব কর্মকার। সেখানে বিপ্লব একটি সোনার দোকান আছে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে চার ভরি সোনা, আড়াই কেজি রূপোর গহনা এবং নগদ দু লক্ষ সাতাত্তর হাজার টাকা উদ্ধার করেছে।