নীলেশ দাস, আসানসোল:- করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী দিন কয়েক আগে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের বেশ কিছু কড়া নির্দেশ দেন। আর সেই মতো রাতের গাড়ি চলাচলের বিধি-নিষেধ বলবৎ করতে তৎপর হলো আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ।
শুক্রবার রাত এগারোটার সময় ভগৎ সিং মোড়ে ACP নিজে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অভিজিৎ চ্যাটার্জীকে হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে জনগণকে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশমতো নাইট কারফিউ ( Night Curfew) সম্পর্কে অবহিত করতে দেখা যায়। তিনি পথচলতি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন যে, ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের জন্য রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত জরুরী পরিষেবা ছাড়া সাধারণের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
একমাত্র স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং জরুরী পরিষেবা ছাড়া রাস্তায় বেরোনো যাবেনা অর্থাৎ যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। কোনো জরুরী কারণে রাস্তায় বেরোলে তার কারণ দর্শাতে হবে। সমস্ত রাস্তায় নাকা চেকিং চলছে।জনগণের প্রতি ওই বার্তা দেওয়ার সময় আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্যান্য আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
বস্তুত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সদ্য সমাপ্ত দুর্গাপুজোয় রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে উপচে পড়া ভিড় দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। ফের করোনা সূচক উর্ধমুখী হচ্ছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের সমস্ত জেলা শাসকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ওই বৈঠকে জেলাশাসকদের বেশ কিছু কড়া নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।একইসঙ্গে ফের বুধবার থেকে শুরু হয়েছে রাতের গাড়ি চলাচলের বিধি-নিষেধ।
বৈঠকে মুখ্যসচিব সাফ জানিয়ে দেন যে, রাতের বিধি-নিষেধ কার্যকরী করতে হবে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কড়াকড়িভাবে রাতের বিধি-নিষেধ ( night restrictions) কার্যকরী করতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে। এছাড়া ভ্যাকসিনেশন বাড়ানোর জন্য জেলাশাসকদের বিশেষ উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
আরো পড়ুন:- সালানপুর ব্লক মিহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন সভানেত্রী হলেন অপর্ণা রায়
এদিকে গত কয়েকদিনে ফের কলকাতা সহ রাজ্যের সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে পুজোর মরসুমে করোনা টেস্টের হার কম ছিল। কিন্তু নমুনা পরীক্ষা বাড়তেই ফের বাড়ছে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা। কলকাতায় করোনা পজিটিভিটির হার ৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে।বিশেষজ্ঞরা এই নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করছেন ।