নীলেশ দাস, আসানসোল:- সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে আজ নবনির্বাচিত পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।এদিন সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্মকার ঘাসি ও সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র পুষ্পস্তবক ও মিষ্টিমুখ করিয়ে বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে সম্বর্ধনা জানান।এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সনারপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মোঃ আরমান, সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং,জেলা পরিষদের সদস্য কৈলাসপতি মন্ডল সহ আরো অনেকে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে তৃণমূল সুপ্রিমো ঘোষণা করেন, নতুন করে সাজানো হয় সংগঠন গুলিকে।আর তারই জেরে এদিন নিজের ক্ষমতা খোয়ালেন এত দিন ধরে জেলা সভাপতির আসন সামলে আসা অপূর্ব মুখার্জি।তবে শুধু তিনি নন,একই ভাবে ক্ষমতা চ্যুত হয়েছে শ্রমিক সংগঠনের নেতা বিশ্বনাথ পরিয়ালও।
এদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সায়নী ঘোষের হার ভালো ভাবে মানতে পারেনি তৃণমূলের হাইকমান্ড।একই ভাবে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের হারের জেরেও রুষ্ট হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তাই জেলায় নতুন করে দলকে ঘুরে দাঁড় করতে দিদির ভরসা এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়।তার কাঁধেই জেলার দলীয় দায়ভার তুলে দিল তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব।
এদিন তৃণমূল রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে জেলার নতুন সভাপতি করা হয়েছে বিধান উপাধ্যায়কে।অন্য দিকে শ্রমিক সংগঠনে জেলা সভাপতি পদ থেকে বিশ্বনাথ পারিয়ালকে সরিয়ে তার জায়গায় আনা হয়েছে অভিজিৎ ঘটককে। পাশাপাশি মহিলা সংগঠনের জেলা সভাপতি থাকলেন মিনতি হাজরা।দুর্গাপুর নগর নিগম এলাকায় কনভেনার পদে আনা হলো মৃগেন পালকে। আসানসোল শহর এলাকায় কন ভেনার করা হয় ভি শিবদাসন দাসুকে এবং রানীগঞ্জ শহরের সভাপতি হলেন রূপেশ যাদবকে। অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের নতুন চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়।
এদিন বিধান উপাধ্যায় জেলা সভাপতি দায়িত্ব পাওয়ার পর উৎসব মেতে উঠে বারাবনি বিধান সভা সহ অন্যান্য বিধানসভা অঞ্চল গুলি,বাজি ফাটিয়ে এবং আবির খেলে কর্মীরা মিষ্টি মুখ করানো হয় সমস্ত কর্মী সমর্থক দের।
এদিন দায়িত্ব পাওয়ার পর বিধান বাবু জানান মুখ্যমন্ত্রী ভরসা করে তার কাঁধে এই দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি চেষ্টা করবেন দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। তিনি আরো বলেন এবার পশ্চিম বর্ধমানে বিরোধী শুন্য হবে সংগঠন আরো মজবুত হবে।
এই প্রসঙ্গে বারাবনি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অসিত সিংহ বলেন আজ আমাদের খুশির দিন দিদি এত বড় দায়িত্ব আমাদের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে দিয়ে ছেন,আমি জানি বিধান উপাধ্যায় সংগঠন ভালো বুঝে তার প্রমাণ আমাদের বারাবনি বিধানসভা।এ বিধানসভায় কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই এবার সারা পশ্চিম বর্ধমানে থাকবে না।
আরো পড়ুন:-পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় কে সম্বর্ধনা
এই প্রসঙ্গে সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আর মান বলেন আনন্দে ভরে গেছে। আজ বারাবনি বিধানসভা অঞ্চল উৎসব মানাচ্ছে দিদি এত বিশ্বাস করে বিধান বাবু কে বড় একটা দায়িত্ব দিয়েছেন এবার আরো বেশি উন্নয়ন হবে,পশ্চিম বর্ধমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন আরো বেশি শক্তিশালী হবে।
এই প্রসঙ্গে সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং জানান দায়িত্ব বাড়লো তবে এবার উন্নয়ন আরো বেশি হবে।বারাবনি বিধানসভার মত একজোট সংগঠন পশ্চিম এবার পশ্চিম বর্ধমানে দেখা যাবে,খেলা হবে।