নিজস্ব প্রতিনিধি:- বর্ধমান শহরের (Burdwan)খালাসীপাড়া এলাকায় তৃণমূল (TMC) কর্মী খুন কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, এটা পাড়াগত দ্বন্দ্ব বলে জানালেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, অশোক মাঝি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ছিলেন এটা ঠিক । যারা অশোককে খুন করেছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন পুলিশ উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করছে, যারা এর সঙ্গে যুক্ত তারা কেউ রেহাই পাবেনা। খুন হওয়া তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝির মৃতদেহে শ্রদ্ধা জানাতে বুধবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে যান রবীন্দ্রনাথ বাবু। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। খুন হওয়া তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝির মৃতদেহে মালা দিয়ে সন্মান জানান তারা।
মঙ্গলবার শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝির(৩৮)। মঙ্গলবার দুপুরে অশান্তি বাঁধে বর্ধমানের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খালাসী পাড়ায় । তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিমের উপর হামলার অভিযোগ উঠে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে।
বর্ধমান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ ছিল পৌরসভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে খালাসি পাড়ায় তাকে কয়েকজন বহিরাগত রড, লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে। কোন ক্রমে তিনি বেঁচে যান।হামলার ঘটনায় প্রাক্তন কাউন্সিলর সৈয়দ মহম্মদ সেলিম, তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝি ও তার স্ত্রী চন্দনা মাঝি জখম হয়।গুরুতর জখম অশোক মাঝিকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝির মৃত্যু হয়।
এলাকায় অশোকের মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই ৬ নম্বর ওয়ার্ড উতপ্ত হয়ে ওঠে। বর্ধমান কালনা রোডে অবরোধ শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা।এদিন খালাসী পাড়া থমথমে। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। পুলিশ টহল দিচ্ছে।
মৃত অশোক মাঝির মা কল্পনা মাঝি জানান, আমার বৌমা সেলিমের সাথে দল করত। শিবুর লোকজন চাপ দিত তাদের সাথে দল করার। আমার বৌমা রাজি না হওয়াতে আমাদের উপর আক্রোশ ছিল। ওরা আমার বৌমাকে মারধর করছিল, ছেলে প্রতিবাদ জানাতে গেলে ওকেও মারধর করে।
আরো পড়ুন:- আজ থেকে আবার দার্জিলিং-এ চালু হলো Toy Train পরিষেবা
অশোক মাঝির খুনের ঘটনায় বর্ধমান থানার পুলিশ চরজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে তিনজন মহিলা। ধৃতদের বুধবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
