নীলেশ দাস,আসানসোল:-পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত লছিপুরের যৌনপল্লীতে নাবালিকাদের দিয়ে দেহ ব্যাবসা করাবার খবর ছিল চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিশনের কাছে। খবরের সূত্র ধরে বুধবার রাত্রে জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে লছিপুরে আচমকা অভিযান চালায় কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী।
আচমকা অভিযানে নাবালিকা এবং মহিলা মিলিয়ে ৩৫ জনকে উদ্ধার করা হয়। কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী জানান, কমিশনের কাছে খবর ছিল লছিপুরের পতিতাপল্লীতে ৫-৬ জন নাবালিকা মেয়েদের নিয়ে ব্যাবসা করা হচ্ছে, সেই খবর পাবার পর জেলাশাসক এবং পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলে লছিপুরের যৌন পল্লীতে এসে মহিলা এবং নাবালিকা মিলিয়ে ৩৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে যার মধ্যে বেশীর ভাগ নাবালিকা। আপাতত সবাই কমিশনের তত্ত্বাবধানে থাকবে। পরে নাবালিকাদের হোমে পাঠানো হবে।
জেলাশাসক বিভু গোয়েল জানান চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী তাদের কাছে জানান বিশ্বস্ত সূত্রের খবর লছিপুরের যৌন পল্লীতে নাবালিকাদের দিয়ে দেহ ব্যাবসা করানো হচ্ছে। রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের কথায় ছাপা মেরে ৩৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের বৃহস্পতিবার সবার পরীক্ষা করে কমিশনের সদস্যরা নাবালিকাদের হোমে পাঠানো হবে।
আরো পড়ুন :-পুলিশ সূত্রে জানা যায় ৩৫ জনের মধ্যে ২১ জন নাবালিকা ছিল, তাদের দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কাজের লোভ দেখিয়ে নিয়ে এসে পতিতাপল্লীতে বিক্রি করা হতো, বাধ্য হয়ে নাবালিকা ও মহিলারা ব্যাবসা করতে বাধ্য হতো। ২১ জন নাবালিকাকে শিশু সুরক্ষা কমিশন হোমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।