Type Here to Get Search Results !

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বসছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট

Top Post Ad

নিজস্ব প্রতিনিধি:- দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হতে না হতেই কোভিডের  তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা। আর তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পার্কিং জোনের জায়গাটিকে প্ল্যান্ট তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় অক্সিজেন প্ল্যান্টটি তৈরি হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয়ঢেউয়ে অক্সিজেনের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। অক্সিজেনের কালোবাজারি হয়।

মানুষকে চড়া দামে অক্সিজেন সিলিণ্ডার কিনতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে অক্সিজেন না পেয়ে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এরপরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। প্ল্যান্ট তৈরি হলে হাসপাতালের অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা আরও ভালো হবে বলে কর্তৃপক্ষের আশা। 

অবস্থানের দিক থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু এই জেলা নয়, আশপাশের পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া ও হুগলির একাংশ এবং বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দারা উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পেতে এই হাসপাতালই ভরসা।কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট খোলা হয়েছে।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। সে কথা মাথায় রেখে করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। করোনা ওয়ার্ডে পাইপের মাধ্যমে রোগীদের কাছে অক্সিজেন পৌঁছানোর ব্যবস্থা রয়েছে। হাসপাতালে দু’টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের যাতে অভাব কোনও সময় দেখা না দেয় সে জন্য তৃতীয় প্ল্যান্টটি হাসপাতালে তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

হাসপাতালের দামোদর ক্যান্টিনের পাশে পার্কিংয়ের জায়গায় ২০০০ এলএমপি ক্যাপাসিটির অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির জন্য বেছে নেওয়া হয়। এছাড়াও অক্সিজেন প্ল্যান্টের জন্য ইলেকট্রিক্যাল সাবস্টেশন তৈরির জায়গাও বাছা হয়েছে। পূর্ত দপ্তর অথবা অন্য কোনও দপ্তর সাবস্টেশনটি তৈরি করবে। প্ল্যান্ট তৈরি করতে গিয়ে বেশকিছু গাছ কাটা পড়বে। তার জন্য বনদপ্তরের কাছেও অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পার্কিংয়ের জায়গা ইতিমধ্যেই খালি করে দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের সুপার ডাঃ প্রবীর সেনগুপ্ত বলেন, হাসপাতালে এখন দু’টি প্ল্যান্ট রয়েছে। আরও একটি তৈরি হলে পরিষেবা আরও উন্নত হবে। অক্সিজেনের সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। নতুন প্ল্যান্ট থেকে রাধারাণি, গাইনি, শিশু ওয়ার্ড সহ আরও কয়েকটি ওয়াের্ড অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে।

Below Post Ad

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.