নিজস্ব প্রতিনিধি:- স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পরেও টাকা না পাওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করলো জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। গোটা রাজ্যের মানুষের সুরক্ষার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে রাজ্যর বহু মানুষকে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ দেবে রাজ্য সরকার।এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে দুটি বীমা কোম্পানিকে ।এদের মধ্যে বীরভূমের এফ এইচ পি এল ইন্সুরেন্স কোম্পানি এই ধরণের অনিয়ম করেছে বলে অভিযোগ করেন প্রগ্ৰেসিভ নার্সিংহোম এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি সেখ আলাউদ্দিন।প্রগ্ৰেসিভ নার্সিংহোম এ্যসোসিয়েশনের অভিযোগের ভিত্তিতে বর্ধমানের সান হাসপাতালে সোমবার বিকেলে তদন্তে যান ডেপুটি সিওএমএইচের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
প্রসঙ্গত,স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করাতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন উপভোক্তারা। এমনকি রোগীর ছুটি হয়ে যাবার পরও দশ দিন আটকে রাখছে নার্সিংহোম কতৃপক্ষ। অভিযোগ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা পরিসেবা নিতে যাওয়া রোগীর আত্মীয়ের। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে বানচাল করতে চাইছে দু একটি টি পি এ বা থার্ড পার্টি এজেন্সি।
গত বৃহস্পতিবার সরাসরি সাংবাদিক বৈঠকে এই অভিযোগ করেন একটি বেসরকারি হাসপাতালের অধিকর্তা মহম্মদ আলহাজউদ্দিন।অন্যদিকে ওই হাসপাতালে পুরো বিল অ্যাপ্রুভ না হওয়ায় বেশ কয়েক দিন ধরে আটকে ছিলেন বাঁকুড়া ইন্দাসের রোগী মুরারী ধারা। তার ছেলে শম্ভু ধারা জানান, ব্রেন স্ট্রোকের রোগী হিসেবে গত আঠাশে জুন এখানে ভর্তি হয় তার বাবা। রোগী খুবই সঙ্কটাপন্ন ছিল।পরে তিনি সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানান, তাদের পুরো বিল টি পি এ ছাড়েনি।এখন তারা খুব অসহায়। অকারণে রোগী এখান থেকে ছাড়া পাচ্ছে না।
অন্যদিকে মহম্মদ আলহাজউদ্দিন জানান, রোগী স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তি হন।আই সি ইঊ তে ওষুধ সহ ৯৬ হাজার টাকা বিল হয়েছে। কিন্তু টি পি এ দিতে চাইছে মাত্র ৩৪ হাজার।তার অভিযোগ ওই টি পি এ ইচ্ছাকৃত ভাবে একাজ করছে। তার আরো অভিযোগ, কাটমানি খাবার লোভে তারা এই চক্রান্ত করছে।ওই কোম্পানির যিনি দায়িত্বে আছেন তিনিই এরজন্য দায়ী।এর ফলে রোগীর হয়রানী হচ্ছে।আর হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যারা টি পি এ কোম্পানিকে কাটমানি দিতে পারবে তাদের বিল পাশ করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ তোলেন আলাজউদ্দিন বাবু। এনিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এই টি পি এ কোম্পানিকে দ্রুত পরিবর্তন করুক সরকার, এই দাবি জানান আলাজউদ্দিনবাবু।