গত দুদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে শনিবার সকালে জল ছাড়া হয়। যার জেরে কাঁকসার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় স্কুলগুলিতে এলাকাবাসীকে সরিয়ে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। দামোদরের জল বাড়ায় দামোদরের তীরবর্তী অঞ্চলে চাষের জমি জলের তলায় ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের।
খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে এলাকা পরিদর্শনে আসেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক শেখর কুমার চৌধুরী ও কাঁকসার বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। কাঁকসার যে সমস্ত এলাকা গুলির বাড়িতে ইতিমধ্যে বাড়ির ভেতর জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের কাঁকসার সিলাম পুর হাই স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
এদিন এলাকা পরিদর্শন করার পর সিলামপুর হাই স্কুল পরিদর্শন করতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। স্কুলের দরজায় তালা লাগানো থাকায় দীর্ঘক্ষন স্কুলের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় মহকুমা শাসক কে।পরে পাঁচিল টপকে বিদ্যালয় এর ভেতরে ঢোকেন মহকুমা শাসক। স্কুলে ত্রাণ শিবির করে এলাকার মানুষকে থাকার ব্যবস্থা করা যাবে কিনা সেই বিষয়ে তিনি খতিয়ে দেখেন। ফের পাঁচিল টপকে তিনি স্কুলের বাইরে আছেন।স্কুল সংলগ্ন এলাকা তে রয়েছে সিলামপুর কমিউনিটি সেন্টার সেখানেও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের এবং কাঁকসার ভিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য কে।
মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, পাঞ্চেত ও মাইথন ড্যাম থেকে জল ছাড়ার ফলে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে যে পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে তাতে প্রায় বিপদ সীমার মধ্যেই রয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকা। তাই কোন রকম ঝুঁকি না নিয়ে সমস্ত বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।