লকডাউন এফেক্ট।একদিকে খুচরো বাজারে ক্রেতারা বেশি দামে মাল কিনছেন।অন্যদিকে পাইকারি সব্জি বিক্রেতাদের বাজার নেই। তারা পড়েছেন আতান্তরে। প্রায়ই লোকসানের বোঝা বইতে হচ্ছে তাদের।
পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের বেরুগ্ৰাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সালিমডাঙা পাইকারি সবজি বাজারে বুলেট লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজি প্রতি।অন্য লংকা ৭ টাকায়।।মাথায় হাত চাষিদের।লকডাউনের ফলে প্রায় সব রকম সবজির দাম কুড়ি থেকে ত্রিশ টাকা কমে গেছে বলে জানাচ্ছেন তারা। এই বাজার থেকে ঝাড়খন্ড বিহার,পাঞ্জাব,দিল্লী,নেপাল সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সবজি রপ্তানি হয়।সালিমডাঙার সব্জি বাজারের আড়তদার রঘু শেখ জানাচ্ছেন, এই বাজারে লঙ্কা,মুলো,বেগুন,পটল, ভিন্ডি,ঝিঙে, মুলো ,কুমড়ো সহ সব ধরনণর সব্জি বিক্রি হয়।
তিনি বলছেন সারা বছর এখানে হাজার হাজার কুইন্টাল সব্জী বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি হয়। বর্তমানে এই লকডাউনের ফলে ভীষণ সমস্যায় পড়েছে চাষিরা।সব্জির দাম পড়ে গেছে।এই বাজারের ক্রেতারা জানাচ্ছেন লকডাউনের ফলে সবজির দাম নেই।
শান্তনু দাস নামে এক ক্রেতা জানাচ্ছেন তারা খুব সমস্যায় আছেন।পুলিশী হয়রাণি বাড়ছে। ২২ টাকার ঝিঙেতে নানা খরচ মিলিয়ে ২৮ টাকা খরচ পড়ছে কেজি প্রতি।সেই ঝিঙে ১৬ টাকায় বেচেছেন দুদিন আগে।
আর এক ব্যবসায়ী প্রবীর বাগ জানালেন, এভাবে আর টানা যাচ্ছে না। সবরকমের অনুমতি থাকলেও পুলিশ রাস্তায় পয়সা নিচ্ছে।ডালা খুলে বেশি মাল নিলে ফাইন দিতে হচ্ছে।অন্য কাজ করবেন লকডাউনে সে উপায় নেই আর একটা সমস্যার কথাও তার বলছেন। খুচরো বাজার মাত্র তিন ঘন্টার।বাজার জমতে না জমতেই দশটায় বন্ধ। খুচরো বিক্রেতাদের মাল পচছে। তাই তারা যত কম দাম সম্ভব তাতে কিনতে চাইছেন।
সবমিলিয়ে কেউই স্বস্তিতে নেই এই লকডাউন বা বিধিনিষেধের গেরোয়।কিন্তু লকডাউন যে দরকার ছিল এটা মানেন তারা। কিন্তু তাদের সমস্যাটাও তীব্র হচ্ছে।