শুক্রবার ভাতার স্টেট জেনারেল হসপিটালে জোর কদমে শুরু হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। এদিন ভোর থেকেই দীর্ঘ লাইন পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। লাইনের মধ্যে কেউ হেলমেট কেউবা ইট দিয়ে জায়গা ধরেছেন।
ভিড়ের চাপ এতটাই বেশি যে শিকেই উঠেছে কোভিড বিধি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই নেই। সকাল ৯ টার মধ্যেই ৬০০ থেকে ৭০০ মানুষ ভাতার হাসপাতাল চত্বরে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য জড়ো হয়ে যায়।
করোনা সংক্রমণ রুখতে সরকার লকডাউন করেছে। কোনো অনুষ্ঠান বা যেকোনো স্থানে সর্বোচ্চ ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না সরকারী নির্দেশিকা জারি হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তর কিভাবে এক দিনে ৭০০ মানুষের টিকাকরণ ঘোষণা করলো,তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।এক জায়গায় কিভাবে এত লোক জমায়েত করলো তা নিয়ে জলঘোলা হতেই মাঠে নামেন বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী।
তিনি হাসপাতাল চত্বরে স্পষ্ট জানান এক জায়গায় এত লোক জড়ো করা যাবে না। ভাতারের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই পরিষেবা চালু হবে খুব তাড়াতাড়ি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতে মানুষ ভ্যাকসিন নিতে পারেন তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার জন্য ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
এদিন মূলত ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে । সরকারি স্থায়ী, অস্থায়ী কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সবজি বিক্রেতা, রেশন ডিলার, ব্যাংক কর্মচারী, পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি, স্কুল শিক্ষক,পেট্রোল পাম্পের কর্মচারীদের এই পর্যায়ের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
অবিলম্বে ভাতার ব্লক হসপিটালে কম সংখ্যক মানুষদের টিকা করণ করা হোক এবং ব্লকের বিভিন্ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অবিলম্বে টিকাকরণ চালু হোক এই দাবী করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।