করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ায় বিজেপি কর্মীর বাবার মৃতদেহ সৎকারে এগিয়ে এলেন না দলের কেউই।তবে মুখ ফিরিয়ে নেননি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পাঁচড়ার তৃণমূলের নেতা,কর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা।তাঁরাই শুক্রবার দায়িত্ব নিয়ে বিজেপি কর্মী নীতিশ বালার বাবার মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করলেন।পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লালু হেমব্রম ও উপপ্রধান বিকাশ পাকড়ে শ্মশানে দাঁড়িয়ে থেকে বিজেপি কর্মী নীতিশ বালার বাবার দেহ সৎকার করালেন।
পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম হাবাসপুর। এই গ্রামের বিজেপি কর্মী নীতিশ বালার বাবা নলিনী বালা (৯০) কভিড আক্রান্ত হন।গত ২০ মে তাঁর কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে ।চিকিৎসা চললেও বৃদ্ধ নলিনী বালার শারীরিক অবস্থা ক্রম অবনতি হয়। শুক্রবার তিনি মারা যান।
নলিনী বাবু মারা যাওয়ার পরেই তৈরি হয় বিপত্তি। কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে ভয়ে বিজেপি কর্মী নীতিন বালার পাশে তাঁর দলের কেউ যেমন দাঁড়াতে চান নি তেমন মুখ ফিরিয়ে নেন প্রতিবেশীরাও। মৃতদেহ দীর্ঘক্ষণ বাড়িতেই পড়ে থাকে। কিভাবে বাবার মৃতদেহ সৎকার করবেন তার কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না মৃতের ছেলে।
পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লালু হেমব্রম বলেন ,বিজেপি কর্মীর করোনা আক্রান্ত বাবার মৃতদেহ সৎকারে কেউ এগিয়ে যাচ্ছিলেন না। তাঁরা বিষয়টি জানতে পারার পরেই তৎপর হন। উপপ্রধান বিকাশ পাকড়ে ও তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন ।
প্রধান বলেন,এরপরে তঁরা সিদ্ধান্ত নেন এলাকার তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরাই বিজেপি কর্মীর বাবার মৃতদেহ সৎকার করবেন । সেই মত ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে কয়েকটি পিপিই কিট’ আনান । সেই ’কিট ’পড়ে দলের কর্মীরা মৃতদেহ বাড়ি থেকে তুলে দামোদরের চরে থাকা শ্মশাণে নিয়ে যান । লালু হেমব্রব বলেন ,তিনি এবং উপপ্রধান বিকাশ পাকড়ে শ্মশানে দাঁড়িয়ে বিজেপি কর্মীর বাবার মৃতদেহ সৎকার করান ।