পূর্ব বর্ধমান জেলায় কোভিড সংক্রমণের হার রেকর্ড ছুঁয়েছে। গত দুদিনে প্রায় ১৭৪২ রোগী নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন।প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।গত কিছুদিন যাবৎ রোগীর সংখ্যা বাড়ায় রোগীদের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাধারাণী মহতাব ব্লক বা রাধারাণী ওয়ার্ডকে কোভিড রোগীদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানেই উঠে এসেছে চূড়ান্ত অব্যবস্থা আর পরিষেবা না পাবার অভিযোগ।
মেমারি থেকে এসেছেন রূপা দাস। তার বাবা এই ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। তার অভিযোগ ' আমাদের রোগীর কাছে যেতে দিচ্ছেনা। রোগীর প্রয়োজনের সময় তার খেয়াল রাখার কেউ নেই। একে অপরকে দেখাচ্ছেন। আয়া ও রাখার ব্যবস্থা নেই। ' আর এক রোগীর আত্মীয় রামপ্রসাস লাহা জানাচ্ছেন ' পরিষেবা বলে কিছুই নেই। রোগী একটু জল পাচ্ছে কী না দেখার কেউ নেই। অক্সিজেনের অভাব হয়তো নেই। কিন্তু কতটা অক্সিজেন কার লাগবে সেটাও দেখার কেউ নেই। রোগীর প্রসাব বা পায়খানা পেলে কী হবে তারও কোনো ঠিক নেই।' আর এক রোগীর আত্মীয় প্রদীপ সরকারের অভিযোগ ' আমাদের যেতে দেওয়া হচ্ছেনা।ওরাও কিছু করছেন না। খাবার টুকু খাইয়ে দেবার লোক নেই। আমার রোগী নেগেটিভ না পজিটিভ দশ দিন হয়ে গেলেও জানতে পারিনি। জানতে গেলে কাউন্টারে কাউন্টারে ঘুরতে হচ্ছে।আর প্রায় সব ওষুধই বাইরে থেকে এমনকি ব্লাকেও কিনতে হচ্ছে।'
এইসব অভিযোগ নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় জানান, ' অভিযোগগুলি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখবো।"
গত বছর কোভিডের সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে অনেকদিন অবধি একটি বেসরকারি হাসপাতাল সরকার নিয়েছিলে। সেখানেই মোটামুটি ভাল পরিষেবা পেয়েছেন অনেক রোগী।এবারে সে ব্যবস্থা নেই। কিছু বেসরকারি হাসপাতালে বা নার্সিং হোমকে এবারে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিপুল খরচ। বেশিরভাগ রোগীর পরিজন সেটা বহনে অক্ষম। তাই হাসপাতালে আরো চাপ বাড়ছে। আর সেখানেও পরিষেবার হাঁড়ির হাল।সাধারণ রোগীরা তাই আপাতত ভাগ্যের ভরসায়।