কেউ রাত ৯ টায়, আবার কেউ রাত দশটা থেকে হত্যে দিয়েছেন। সারারাত জেগেছেন।তবুও তারা নিশ্চিত নন ভ্যাকসিন পাবেন কি না।এই হল ভ্যাকসিনের রোজনামচা পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে।
এমনিতেই ভ্যাকসিনের ফাস্ট ডোজ দেওয়া হচ্ছে না।কিন্তু যারা দ্বিতীয় ডোজ নেবেন তারাও পাচ্ছেন না। কারো বয়স ৬৫ তো কারো বয়স ৭৫। তার তিন চার দিন ধরে ঘুরে ঘুরেও ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না। তাই তারা রাতে বাড়িতে না ঘুমিয়ে ভ্যাকসিনের জন্য রাত থেকেই পড়ে আছেন পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলে ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে।এখানে অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে বড়শুল পিটিটিআইয়ে।
কেউ এসেছেন ভোর তিনটেতে।তখন অবশ্য লাইন বহূ দুর চলে গেছে। বেলাগাম কোভিডে বেসামাল ভ্যাকসিন।কারো কাছে নিদিষ্ট কোন তথ্য নেই। সবাই দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। জেলা মুখ্য স্বাস্থ আধিকারিক প্রণব কুমার রায় বলেন, ভ্যাকসিনের সরবরাহ কম আছে তাই এই অবস্থা। কিন্তু যাদের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ৫৬ বা ৫৭ দিন পার হয়ে যাচ্ছে তাদের কি হবে।সরকার বা প্রশাসন কি কিছু ভাবছে উত্তর নেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে।ফলে সিনিয়র সিটিজেনরা এখন অসহায়।সারারাত ভ্যাকসিন সেন্টারের সামনে রাত জেগেও ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না।
বৃদ্ধ বৃদ্ধারা চাটাই পেতে চাতক পাখির মত বসে আছেন ভ্যাকসিন পাবার আশায়।সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে তাই বহু মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। ঘন্টার পর ঘন্টা এই ভাবেই তারা রোদের মধ্যে ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছেন।