ভ্যাক্সিন নিতে এসে নিত্যদিনের হয়রাণি চলছে তো চলছেই। প্রবীণ মানুষদের নিয়ে যেন তামাশা চলছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের ভ্যাক্সিন কেন্দ্রে।আজ ভ্যাক্সিন না পেয়ে নোডাল অফিসার সহ কতৃপক্ষের উদাসীনতার বিরুদ্ধে সরব হন উপভোক্তারা।
প্রথম ডোজের ভ্যক্সিন বন্ধ হয়ে রয়েছে আজ প্রায় এক পক্ষকাল পেরোতে চলল। দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাক্সিন নিতে এসে চূড়ান্তভাবে নাকাল হচ্ছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। কোনো সিস্টেম নেই। কোনো ঠিকঠাক তথ্য নেই। শুধু প্রাণের দায়ে কেউ রাত দুটো কেউ তিনটে থেকে লাইন দিচ্ছেন। তারপর দীর্ঘসময় লাইনে থেকে মাত্র দেড়শোটি টোকেন আজ দেওয়া হয়। বাকি প্রচুর মানুষ আজও ফিরে যান।
আজ প্রথম ভ্যাক্সিন পান নি রুমা চ্যটার্জি। মাকে নিয়ে ভোরবেলা লাইন দিয়েছেন।আজও ভ্যাক্সিন পেলেন না। খুবই হতাশ তিনি। আর এক উপভোক্তা লক্ষীকান্ত পাল সরব হয়েছেন সেন্টারের অব্যবস্থা নিয়ে। তার কথায় ; প্রথম ডোজ তারা ভালভাবেই পেয়েছেন। এখন তারিখ পেরিয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে তিনদিন ফিরে যেতে হল। তার কথায় কতৃপক্ষের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। তারা মানুষকে কবে কতটা ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে সেই তথ্যটুকু দিতে পারছেন না। ওরা কি মানুষের দুর্দশা নিয়ে মজা দেখছেন।
আর এক প্রবীণ আশীষ কুমার মন্ডল। তিনিও ভোর থেকে লাইনে। তার উদ্বেগ না খেয়ে দেয়ে লাইন দিতে হচ্ছে। রোজ রোগের দাপট বাড়ছে। লোক মারা যাচ্ছে। তাও প্রথম ডোজ দেবার কোনো খবর নেই। সেকেন্ড ডোজ নিয়েও নানা বিভ্রান্তি।যার কো ভ্যাক্সিন নিয়েছেন তাদের হয়রাণি খুবই। কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও অভিযোগের শেষ নেই।
ভ্যাক্সিন নিয়ে বারবার এই ধরণের অভিযোগ আসছে। যারা দায়িত্বে আছেন তাদের বিরুদ্ধে সরব মানুষ। অন্য ভ্যাক্সিন সেন্টারগুলি বেশ কয়েকদিন যাবৎ বন্ধ। বাইরে বেসরকারি পরিষেবাও বন্ধ। আর মেডিকেল কলেজের অব্যবস্থা।সব মিলিয়ে আজও পাল্টালো না জেলার ভ্যাক্সিন চিত্র