পূর্ব বর্ধমান সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি জেলার সাধারণ ও গরিব রোগীদের চিকিৎসার সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ। ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে এখানে আলাদা ওয়ার্ডে কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে।
আর সারি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন উপসর্গ আছে অথচ টেস্টের রিপোর্ট আসেনি এমন রোগীরা। এই কোভিড ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই পরিজনদের। এই প্রবল গরমে তারা বাইরে দিনরাত পড়ে রয়েছেন। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এখানে তারা সরব পরিষেবা নিয়ে। সুযোগ পেলেই উগড়ে দিচ্ছেন তাদের ক্ষোভ।
তাদের অভিযোগ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের পরিষেবার বিরুদ্ধে। তারা বলছেন; এখানে রোগীদের ফেলে রাখা হচ্ছে অযত্নে। চরম অবহেলা চলছে। খাওয়া দাওয়া বা প্রসাব পায়খানা সময়মতো করানো হচ্ছেনা। একজন মাত্র আয়া তিনি ষাট জন রোগীকে দেখছেন।
স্বাভাবিকভাবে তার পক্ষেও এতদিকে খেয়াল রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। কলকাতার পর পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অন্যতম বড় সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র। এখানে হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগের বহর শুনে যে কেউ আঁতকে উঠবেন।
পরিজনদের অভিযোগ, যে কেউ করোনা নেগেটিভ থাকলে অবধারিত পজিটিভ হয়ে যাবে। এছাড়া তাদের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এর মধ্যে কারো কারো অভিযোগ একটি ক্ষেত্রে রোগীর মারা গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা ওয়ার্ডে পড়ে ছিল দেহ।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বলতে কিছুই নেই ভিতরে। এসবের মধ্যে থেকে রোগী আরো অসুস্থ হয়ে পড়বেন। স্বাভাবিক কারণে তাদের ভিতরে যাওয়া বারণ কিন্তু ভিতরে কী হচ্ছে তা জানার উপায় নেই। এমনকি এ অভিযোগও একজন করলেন ন দিন আগে তার রোগী নেগেটিভ হলেও তাকে পজিটিভদের সাথেই রাখা হয়েছে।
সবচেয়ে বড় সমস্যা তথ্য না পাওয়া নিয়ে। বিপদে পড়া এই মানুষগুলো যদি ঠিকমতো রোগীর অবস্থা জানতে পারেন তবে এত ক্ষোভ থাকত না। সেটুকু ব্যবস্থাও নেই বলেই তাদের অভিযোগ।
পূর্ব বর্ধমানের কোভিড সংক্রমণের কিছুটা হলেও অল্প করে কমছে। তবে এখনো মোট সংখ্যাটা খুব কম নয়।গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭১১ জন।
গতবার কোভিড সংক্রমণের প্রথম পর্বে একটি বেসরকারি হাসপাতালের পুরোটা নিয়ে সেখানে চিকিৎসা হচ্ছিল।সেবারে এত অভিযোগ ছিল না। এবারে সে ব্যবস্থা নেই। পরিবর্তে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।সেখানেই উঠে আসছে ভুরি ভুরি অভিযোগ।