এক ফোনেই কিস্তিমাত। লকডাউনে ফোনে অর্ডার করে টাকা পেমেন্ট করলেই বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছিল বোতল ভর্তি মদ। স্কুটিতে করে রমরমিয়ে চলছিল মদের হোম ডেলিভারি।পাশাপাশি ব্যবস্থা ছিল ক্যাশ অন ডেলিভারিরও।
চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছিল দেশী ও বিদেশি মদ।কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।বমাল সহ গ্রেপ্তার চারজন।ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে।
মেমারি থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালায়।মেমারি শহরের দু'টি বাড়ি ও দু'টি হোটেলে হানা দিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে প্রচুর পরিমাণে দেশী ও বিদেশী মদ।
মদের কালোবাজারি ও অবৈধ ভাবে মদ বিক্রির অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ,বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি স্কুটি।ধৃতরা হল সন্তোষ দত্ত, অভিজিৎ দে, বিমল মণ্ডল ও স্নেহাদ্রী বাঙাল।প্রথম দু'জনে বাড়ি মেমারি শহরে।বিমলের বাড়ি হুগলীর চন্দননগরে। আর স্নেহাদ্রীর বাড়ি জামালপুরের আঝাপুর এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বাড়িতে আলমারির ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল মদের বোতল।বাড়ি থেকেও উদ্ধার করা হয় প্রচুর পরিমানে মদের বোতল।
পাশাপাশি আরোও জানা গেছে, লকডাউনের সময় চড়া দামে বিক্রি করার জন্য মদ মজুত করে রেখেছিলো। ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে হোম ডেলিভারি করা হত। এসডিপিও (দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ধৃত চারজনই আলাদা ভাবে মদের কারবারি করছিল।