Type Here to Get Search Results !

বছর ঘুরলেও মেলেনি সরকারী প্রকল্পের ঘর,একদিকে পেটের জ্বালা, অপর দিকে বাসগৃহের চিন্তা,ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছেন না মুখার্জি দম্পতি

বাড়ি জরাজীর্ণ।প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করতে হয়।  বাসস্থান বলতে সাত আট ফুটের একটি রুম। রুমের সামনে তিনফুটের বারান্দা। তাতেই পাঁচজনের বসবাস।রান্নাবান্না ও খাওয়াদাওয়া। এই ভাবেই দিন কাটাচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের গলসি ১ নম্বর ব্লকের গলিগ্রামের আশা মুখার্জ্জী। 

বছর খানেক আগে ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েও সরকারী প্রকল্পে ঘর পাননি তিনি। অগত্যা স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বাশুড়ির এক কুঠরির ঘরে বসাবস করছেন। শ্বাশুড়ির সঙ্গে তার বনিবনা না হওয়ায় নিত্যদিন লাঞ্চনা গঞ্জনা শুনছেন। প্রতিদিনই শ্বাশুড়ি তাকে ঘর থেকে বেড়িয়ে যেতে বলেন। নিজের দুর্দশার কথা বলতে বলতে একপ্রকার কেঁদে ফেললেন গৃহবধূ আশা মুখার্জ্জী। 

তিনি বলেন, গতবারের আমফান ঝড়ের সময় থেকে তার ঘরটি ভেঙে যায়। স্বামী ত্রিপুরারী মুখার্জ্জী বহুবার পঞ্চায়েত অফিসে গেছেন। বিডিওকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। আমফানে বহু মানুষ সরকারী প্রকল্পে নতুন ঘর পেলেও তাদের কোন সুরাহা হয় নি।

মেলে নি সরকারি প্রকল্পের বাড়ি। তারা ভুমিহীন পরিবার হওয়ায় উপার্জন বলতে তেমন কিছুই নেই। কোনক্রমে পুজো অর্চনা করে পরিবারের পেট চালান স্বামী।ওতে কোনদিন শাক ভাত তো কোনদিন নুন ভাত জোটে কপালে। এদিকে লকডাউনের পর থেকে পুজো পাট বন্ধ হওয়ায় করুন অবস্থা এখন গোটা পরিবারে। একদিকে পেটের জ্বালা, অপর দিকে বাসগৃহের চিন্তা। কোনটা নিয়ে যে ভাববেন তার কুল কিনারা পাচ্ছেন না মুখার্জি দম্পতি।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad