নীলেশ দাস, আসানসোল:- ভোটের ফলাফলের পর প্রথমবার আসানসোলে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আসেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তেওয়ারি, বিদায়ী জেলাসভাপতি তথা বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বারাবনির প্রার্থী অরিজিত রায় সহ অন্য জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীরা। তাঁরা কার্যালয়ে গোপন বৈঠক করেন। দলীয় কর্মীদের পাশে কীভাবে দাঁড়াতে হবে তার পরামর্শ দেন। করোনা আবহে যখন আসানসোলে তৃণমূলের সবুজ ভলেন্টিয়ার ও সিপিআইএমের রেড ভলেন্টিয়াররা রিলিফ নিয়ে নেমেছেন সেখানে ১৮ জন সাংসদ ও ৭৮ জন বিধায়ক থাকা সত্বেও গেরুয়া ভলেন্টিয়ারদের রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না। বাবুল সুপ্রিয় স্পষ্ট বলেন, রাজ্য জুড়ে যে সন্ত্রাস শুরু হয়েছে তাতে অনেক বিজেপি কর্মী ও তাঁদের পরিবার ঘর ছাড়া। সেখানে বিজেপি কর্মীরা নিজেদের প্রাণ বাঁচাবেন নাকি সমাজসেবায় নামবেন ? তৃণমূলের সন্ত্রাস ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সু্প্রিয়।
পাশাপাশি,ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে উদ্বিগ্ন পশ্চিম বর্ধমানের পরাজিত হওয়া বিজেপি প্রার্থীরা। দলীয় কর্মীরা এখন ঘর ছাড়া। সকলেরই অভিযোগ জামুড়িয়া রানিগঞ্জ ও পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা হচ্ছে। সন্ত্রাসের ভয়ে স্ত্রী ছেলে মেয়ে নিয়ে কেউ আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়ের বাড়িতে কেউ বা নিরাপদ দলীয় কার্যালয়ে। অত্যাচারিতদের বেশীরভাগ লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। আসানসোল উত্তরের সেন্ট্রাল পার্টি অফিসে জামুড়িয়া রানিগঞ্জ ও পাণ্ডবেশ্বরের ১৫০ জন পার্টি কর্মী ও তাঁদের পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও সন্ত্রাসের ভয়ে সেই তথ্যও গোপন করা হচ্ছে পার্টির তরফ থেকে।