নীলেশ দাস,আসানসোল:- করোনা থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ধরনের সচেতন চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার।সকলকে বলা হচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় চলুন,অবশ্যই মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যাবহার করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে করোনার সাথে মোকাবিলা করার জন্যে।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সেফ হোম করা হয়। এর পাশাপাশি শনিবার করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে দুটি সেফ হোমের উদ্বোধন করা হয় ৷ এদিন আসানসোলের সেন্ট জোসেফ ও লরেটো কনভেন্ট স্কুলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্যে সেফ হোমগুলি চালু করা হয় ৷
যেখানে খাদ্য পানীয় ওষুধ অক্সিজেন সরবরাহ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সহ ৬০টি করে শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ সেফ হোমগুলির উদ্বোধন করে রাজ্যের আইন ও পূর্ত বিভাগের মন্ত্রী মলয় ঘটক।এদিন মলয় ঘটক বলেন, করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য সরকার যেভাবে মোকাবিলা করছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলা আসানসোল দুর্গাপুর সহ এলাকায় কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যে দুটি সেফ হোমের উদ্বোধন করা হয়েছে ৷
একটি সেন্ট জোসেফ ও অন্যটি লরেটো কনভেন্ট স্কুলে ৷ এর জন্যে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিকে ধন্যবাদ ৷ তারা তাদের স্কুল বিল্ডিংগুলিকে সেফ হোম গড়ে তোলার জন্যে প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছেন ৷
পাশাপাশি, এদিন আসানসোল পুরনিগম, দুর্গাপুর পুরনিগম ও সিএমওএইচ দফতরের পক্ষ থেকে কোভিড রোগীদের সহায়তায় দুটি করে মোট ৬ টি অ্যাম্বুলেন্স দান করা হয়েছে ৷ যেগুলি এই সময় করোনা সংক্রামিত রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে ৷
অন্যদিকে, জেলাশাসক বিভূ গোয়েল বলেন, দুটি স্কুলে মোট ১২০ শয্যার সেফ হোম চালু করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি ৬ টি অ্যাম্বুলেন্স রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে ৷ তবে তিনি বলেন কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতিতে রোগীদের পরিষেবা দেওয়াটাই মুখ্য বিষয় ৷