সোমনাথ মুখার্জি,পাণ্ডবেশ্বর:- ইএসিএলের বাঁকোলা কলিয়ারির মাইনিং সরদার হিসাবে কর্মরত সাহেব প্রসাদ নামে এক কয়লা শ্রমিক চিকিত্সার অভাবে মারা যান বলে অভিযোগ পরিবারের। নিহতের সহকর্মীরা কলিয়ারি ডাক্তারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। বাঁকোলা কলিয়ারি এক শ্রমিক প্রিয়ব্রত মুখার্জি বলেন যে সাহেব প্রসাদ গত কয়েক দিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন । ২ দিন আগে তাকে উচ্চ জ্বরের কারণে কলিয়ারির চিকিত্সকের কাছে জানানো হয়েছিল তবে চিকিত্সা না দিয়ে চিকিৎসক তাকে প্রথমে করোনার পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। চিকিত্সার অভাবে সোমবার রাতে সাহেব প্রসাদ মারা যান। খনি শ্রমিকদের দাবি যে, প্রাথমিক চিকিত্সার অভাবে এই শ্রমিক মারা গেছে । যার কারণে কলিয়ারির ডাক্তার দায়ী। শ্রমিকের মৃত্যুর ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় খনি শ্রমিকরা। কলিয়ারির চিকিৎসক বলেন যে রোগী নিজে তার কাছে আসার পরিবর্তে এক প্রতিবেশীকে পাঠান । প্রতিবেশীর কাছে রোগীর সম্পর্কে যেটুকু জানতে পারেন তাতে লক্ষণ প্রাথমিক ভাবে করোনার সংক্রমণ মনে হয়।
এই কারণে আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম ইসিএল'র কেন্দ্রীয় হাসপাতালে, কল্লায় গিয়ে করোনার টেস্ট করিয়ে নেওয়ার জন্য। রোগীর গাফিলতির কারণে তিনি মারা গেছেন। কলিয়ারির চিকিৎসক বলেন যে খনির ডিসপেনসারি প্রয়োজনীয়তা অনুসারে মেডিকেল সুবিধা দিয়েছে। জরুরী পরিস্থিতিতে একজন শ্রমিককে সেন্ট্রাল হাসপাতাল কল্লায় প্রেরণ করা হয়। পরে খনি কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে।