প্রতিনিধি,বসিরহাট:- রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এত সচেতন করেও সাধারণ মানুষের মধ্যে হুঁশ ফিরছে না, বসিরহাট মহাকুমার হাড়োয়া থানা গোপালপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগানআটি গ্রামের ঘটনা। পেশায় অটোচালক মোজাফর মৌলভী,তিনি খুবই কষ্ট করে সংসার চালান অটো চালিয়ে ছেলেমেয়েদের ঠিকভাবে লেখাপড়া শেখাতে পাচ্ছিলেন না ।
আর তাই ১৫,বছরের সোহানী খাতুন গোপালপুর গার্লস হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে আর স্কুলে যেতে পারেননি,অভাব-অনটনের কারণে । আর তাই বাবা বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলেন এই লকডাউন এরমধ্যে।
প্রথমে গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করে পরে স্থানীয় প্রশাসনকে জানায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বসিরহাট মহকুমা আইনি পরিষেবা কমিটির প্যারালিগাল ভলেন্টিয়ার বাসন্তী সাহা ও মনীষা দেবনাথ,খবর পায় যে নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে, ঠিক তখনই তড়িঘড়ি তারা হাড়োয়া থানায় সঙ্গে যোগাযোগ করে।
হাড়োয়া থানার পুলিশ এবং বসিরহাট মহকুমা আইনি পরিষেবা কমিটির প্যারালিগাল ভলেন্টিয়ার অর্থাৎ পি এল ভি ভলান্টিয়াররা ও পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে তারা নাবালিকার বাড়িতে যান। এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং বলেন বিয়ে না দিতে, ১৮ বছর না হলে তারা বিয়ে দেবেন না , পাশাপাশি একটি মুচলেকা লিখিয়ে নেয়া হয় সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেব না এই বলে একটি মুচলেকা লিখে দেন, নাবালিকা কন্যার বাবা ।
পাশাপাশি প্রশাসন আশ্বাস দেন। ওই নাবালিকা কন্যা যদি পড়াশোনা করতে চাই তাহলে তার সমস্ত রকমের সাহায্য করা হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে সরকারের এত প্রচার এত সচেতন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে হুঁশ ফিরছে না। কবে সচেতন হবে সাধারণ মানুষ তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন প্যারালিগাল ভলেন্টিয়াররা বলেন তাদের এই নাবালিকা বিবাহ বন্ধ করার কাজ তারা চালিয়ে যাবেন যতদিন পর্যন্ত সাধারণ মানুষ সচেতন না হবে।