সংবাদদাতা, অন্ডাল :- খনির নিচে শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার কিরে চাঞ্চল্য খনি চত্বরে ।প্রশ্ন উঠছে খনির নিরাপত্তা নিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে ইসিএলের বাঁকোলা এরিয়ার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারিতে । সূত্র মারফত জানা যায়, প্রত্যেক দিনের মতোই সোমবার নিজের কাজের যোগ দিয়েছিলেন জামুরিয়ার দামোদরপুর এলাকার বাসিন্দা ব্রজগোপাল অধিকারী।
কর্মসূত্রে স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে তিনি থাকতেন লাউদোহার ঝাঁজড়া কলোনিতে। ব্রজ গোপাল বাবুর বয়স আনুমানিক ৫৫ বলে জানা যায়। গতকাল সেকেন্ড শিফট অর্থাৎ চারটে থেকে রাত্রি বারোটা পর্যন্ত ডিউটিতে যোগ দিয়েছিলেন ব্রজগোপাল বাবু । তিনি সংশ্লিষ্ট কোলিয়ারির ইলেকট্রিশিয়ান পদে কাজ করতেন।
আনুমানিক রাত্রি সাড়ে দশটা থেকে এগারোটা নাগাদ খনির নিচে তার ঝুলন্ত দেহ লক্ষ্য করেন খনিতে কর্মরত অন্য শ্রমিকরা। খনির আধিকারিককে খবর দেওয়া হয়, খবর দেওয়া হয় অন্ডাল থানার উখড়া ফাঁড়ির পুলিশকে । পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
মৃতের এক আত্মীয় রাখহরি অধিকারী জানান, গতকাল রাত্রেই তিনি খবর পান খনির নিচে ব্রজগোপালের দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন এসে দেখি এই অবস্থা। তবে সংসারে কোনরকম অশান্তি ছিল না, হয়নি কোন ঝগড়াঝাঁটিও, তাও কেন ব্রজগোপাল এরকম ঘটনা ঘটালো সেটাই বুঝতে পারছেন না পরিবারের লোকজন বলে দাবি তার ।
অন্যদিকে খনির নিচে দড়িতে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে খনির নিচে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শ্রমিক সংগঠনগুলি ও খনির শ্রমিকরাও । কিভাবে একজন দড়ি নিয়ে খনির নিচে গেল সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও ইসিএল কর্তৃপক্ষ কর্মরত অবস্থায় খনি শ্রমিকের মৃততে মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ সমস্ত কিছুই প্রদান করবেন বলে সূত্র মারফত জানা যায় ।