তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:- শুক্রবার কাঁকসা থানায় দাঁড়িয়ে মৃতার পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিলেন একটি বেসরকারি কারখানার আধিকারিকরা।জানা গেছে গত বছর জুন মাসের ১ তারিখে কাঁকসার গোপালপুরে একটি বেসরকারি কারখানায় কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় গোপালপুরের বাসিন্দা তারেশ মন্ডলের।
ওই শ্রমিকের মৃত্যুর পর কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানায় পরিবার। আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হয় মৃত শ্রমিকের স্ত্রীর হাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮লক্ষ টাকা ও স্বনির্ভর হওয়ার জন্য তার স্ত্রীর হাতে একটি সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হবে। সেইমত ঘটনার কয়েকমাসের মধ্যে ৫লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও বাকি ৩লক্ষ টাকা দিতে দেরি করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
অবশেষে বাধ্য হয়ে ক্ষতিপূরণের বাকি টাকার দাবিতে বৃহস্পতিবার গোপালপুরের ওই বেসরকারি কারখানার গেটের সামনে ধর্ণায় বসে মৃতার স্ত্রী ও তার পরিবার।
খবর পেয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ পৌঁছে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনায় বসে। শুক্রবার দুপুরে কাঁকসায় থানায় এসে মৃতার স্ত্রীর হাতে তিন লক্ষ টাকার চেক তুলে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। উপস্থিত ছিলেন কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য্য, পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের কিষান ক্ষেত মজদুর সংগঠনের জেলা সভাপতি জয়ব্রত বৈদ্য ও তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি চন্দন রায়।
এদিন ক্ষতিপূরণের চেক পেয়ে খুশি মৃতার স্ত্রী জানিয়েছেন কাঁকসা থানার পুলিশের উদ্যোগে তিনি ক্ষতিপূরণের বাকি টাকা পেয়েছেন। টাকার অভাবে তার ছেলেমেয়ের পড়াশোনা আটকে গিয়েছিলো।টাকাটা সময়ে পাওয়াতে তার অনেকটা সুরাহা হলো।
আগামী দিনে তাকে একটি সেলাই মেশিন দেবে কারখানা কর্তৃপক্ষ। কাঁকসা থানার দাঁড়িয়ে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।