সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- ফের খুন পূর্ব বর্ধমান জেলায়। খুন করে এবারে পালাতে পারেনি খুনি। আশঙ্কাজনকভাবে আহত খুনির চিকিৎসা চলছে। পুলিশ তৎপর। খুনির মুখ থেকে খুনের মোটিভ জানতে এগোচ্ছে তদন্তের প্রক্রিয়া।।
সোমবার রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারিতে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। স্বামীর হাতে খুন হলো স্ত্রী। পুলিশসূত্রে জানা যায় মেমারির দুর্গাপুর অঞ্চলে শোনড়ার বড়পুকুরের পাড়ে্ রাত্রি ৮-৩০ থেকে ৯ টা নাগাদ স্বামী লক্ষ্মীরাম হেমরম তার স্ত্রী অনিমা টুডুকে (বয়স আনুমানিক ২৩) কাস্তে দিয়ে গলায় আঘাত করে খুন করে। পরে স্বামী সেই কাস্তে দিয়েই নিজের গলা, কানে আঘাত করে। ঘটনার খবর পেয়ে উপস্থিত হয় মেমারি থানার পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় অনিমা টুডুর দেহ উদ্ধার করে এবং গুরুতর জখম লক্ষ্মীরাম হেমরমকে মেমারি হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক অনিমা টুডুকে মৃত বলে ঘোষণা করে এবং লক্ষ্মীরাম হেমরমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
অনিমা টুডুর মা জানায়, স্বামীর বাড়ি হুগলি জেলার দাদপুর থানার আগড়াপাড়ায়। বিয়ের পর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকতো। আর্থিক অনটনের জন্য মেয়ে জামাইয়ের সাথে ঝগড়া হওয়ায় মেয়ে শোনাড়াতেই থাকতো। মাঝে জামাই আসা যাওয়া করতো কিন্ত অশান্তি লেগেই থাকতো। আজও তাই হলো খাওয়াদাওয়ার পর মেয়ে ও জামাই ঘর বন্ধ করে ঝগড়া করতে থাকে। মেয়ের বাবা বারবার দরজা খুলতে বললেও দরজা না খোলায় প্রতিবেশীকে খবর দেওয়ার পর দরজা ভেঙে দেখে মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে।
প্রতিবেশী রবি বাস্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, অনিমা টুডুর বাবা খবর দেওয়ার পরই ছুটে এসে দরজা ভাঙার সাথে সাথেই দেখেন লক্ষ্মীরাম হেমরম কাস্তের আঘাতে মেয়েটি মেঝেতে পড়ে গেল এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ওই কাস্তে দিয়ে নিজেই আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে গলায়, কানে আঘাত করে বিছানায় লুটিয়ে পড়ে।
পরিবার সূত্রে জানা যায় তাদের একটি চার বছরের ছেলে রাজু হেমরম ও ৩ মাসের মেয়ে রিয়া হেমরম বর্তমান। মেমারি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।