সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- ফের পদ্ম শিবিরে কলহ। জেলা সভাপতি ও সাংসদের নিক্রিয় ভূমিকার প্রতিবাদে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির সহসভাপতি শ্যামল রায় পদত্যাগ করলেন। তিনি বলেন, 'আমরা আজ দলের কাছে অসম্পদ। দলের এখন ভোট ৩৮ শতাংশ।যখন দলের ভোট ৪ শতাংশ ছিল তখন সম্পদ ছিলাম।দলের সংগঠন এখন একেবারে তলানীতে ঠেকেছে। এই নিয়ে আমি বারে বারে জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা ও সাংসদ সুরিন্দর সিংহ আহলুওয়ালিয়া কে বলেছি।কিন্তু তাতে কোন কাজ হয় নি।আমরা যারা ১৯ সালে লোকসভা ভোটে জেতালাম দলকে তারাই আজ ব্রাত্য। বরং সিপিএমের থেকে আসা লোকজন এখন সাংসদের কাছের মানুষ। আমরা যে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।সেই সিপিএমের লোকজন এখন দলের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে ।' তাই বাধ্য হয়েই জেলা সহসভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।
তিনি আরো বলেন, ২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর নেতারা যখন কোভিডের দোয়াই দিয়ে ফোন অফ করে ঘরে বসেছিল।তখন আমি দলের আক্রান্ত কর্মী সমর্থকের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। তবে দলের সঙ্গে আছি।নীতি আদর্শের সঙ্গে আছি।
এই বিষয়ে বিজেপির জেলা মুখপাত্র সৌম্যরাজ ব্যানার্জী বলেন, খুবই হঠকারী সিদ্ধান্ত।যদিও কারো জন্য কিছু আটকে থাকে না।তবে এই সিদ্ধান্ত না নিলেই ভালো হত।দল বড় হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ্ব হতেই পারে।সেটা আলোচনা করে দলের ভিতরেই মিটিয়ে নিতে হবে।শ্যামল দলের পুরনো কর্মী। তার পদত্যাগ গৃহীত হয়েছে কি না জানা নেই বলে তিনি জানান।
এখানে উল্লেখ্য জেলা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল নতুন নয়।বিভিন্ন সময়ে দলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। ২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের কোন্দল চরম জায়গায় পৌঁছায়। জেলা বিজেপির ঘোড়দৌড় চটির কার্যালয়ে ভাঙচুর হয় দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর জায়গায় নতুন সভাপতি করা হয় অভিজিৎ তা কে।তাতেও গোষ্ঠী কোন্দলের রাশ টানতে কার্যত ব্যর্থ হয় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
মাস চারেক আগে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়ে সন্দীপ নন্দীকে পুনরায় সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনার দাবীতে। ধারাবাহিক গোলমালের নতুন সংযোজন জেকা সহসভাপতি শ্যামল রায়ের পদত্যাগ।জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, আমরা তো আগে থেকেই বলেছি বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কথা।তাদের দলীয় কার্যালয়েও ভাঙচুর হয় দ্বন্দ্বের জন্য।তাই এআর নতুন কিছু নয়।