সোমনাথ মুখার্জি ,অন্ডাল: - অন্ডাল থানার অন্তর্গত মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধান্ডাডিহি গ্রামের থেকে আনুমানিক ১০০ মিটার দূরে একটি শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে গভীর ধসের ঘটনা ঘটে সোমবার। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। ফের মঙ্গলবার ওই ধসের আকার আরো বড় আকার নেওয়ায় ফের আরো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে । অভিযোগ পাওয়ার পর, ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার পক্ষ থেকে ধস কবলিত স্থানটিতে মাটি ভরাটের কাজ আজও শুরু হয়নি । এ ঘটনাকে ইসিএল ব্যবস্থাপনার গাফিলতি বলে অভিহিত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গ্রামবাসী জগবন্ধু সাধু জানান, আমাদের গ্রাম কয়লাঞ্চল এলাকার অন্তর্গত এবং ধস কবলিত এলাকা বলেই পরিচিত। গ্রামের পাশেই রয়েছে ই সি এল এর পুরনো একটা খোলা মুখ কয়লা খনি । এই পরিত্যক্ত খনি থেকেই বর্তমানে অসাধু কয়লা ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে কয়লা খনন করছে, আর এর কারণেই এলাকায় ধসের সৃষ্টি হচ্ছে ।
গ্রামের চারপাশে রয়েছে বৈধ, অবৈধ বহু ভূগর্ভস্থ মাইন ও ওসিপি। বৈধ-অবৈধ খনির খননের কারণে এলাকাটি ফাঁপা হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, তাদের পাশের গ্রাম হরিশপুর যেভাবে ধসের কবলে পড়ে আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে । গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বাস করছেন সেখানে। দু'বছর ধরে প্রশাসন তথা ইসিএল এর আধিকারিকদের দরজায় দরজায় ঘুরেও মেলেনি পুনর্বাসন। ঠিক সেই হরিশপুর গ্রামের মতো আমাদের গ্রামও যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছি বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা জগবন্ধু সাধু ।
গ্রামে হাজার হাজার ঘরবাড়ি, তলিয়ে গেলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এখানে যত্রতত্র জমি ফাঁপা,যেকোনো সময় তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের । মঙ্গলবার ধস কবলিত স্থান পরিদর্শন করলেন তৃণমূলের রানীগঞ্জ টাউন সভাপতি রূপেশ যাদব । রুপেশ বাবু বলেন কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প কয়লা খনি। সেখানে যে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন তা না করেই কয়লা উত্তোলনের পর খনি খোলা অবস্থায় রেখে দেওয়ার কারণেই ঘটছে ধসের ঘটনা। ধসের কারণ হিসাবে রূপেশ বাবু সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্র সরকারকেই দায়ী করেছেন।