সংবাদদাতা পূর্ব বর্ধমান:- মাস ছ'য়েক ধরে পানীয় জলের সংকটে ভুগছেন খোদ বর্ধমান পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের হারাধনপল্লীর বাসিন্দারা। বার বার স্থানীয় কাউন্সিলর সহ পৌরসভায় জানিয়েও মেলেনি কোনো রকম সুরাহা অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বাধ্য হয়েই এলাকার বাসিন্দারা ফেটে থাকা পাইপ থেকেই পানীয় জলই সংগ্রহ করছেন।
জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য নতুন করে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। চার লেনের পরিবর্তে ৬ লেনের রাস্তা তৈরির কাজ চলছে।রাস্তার দু'ধারে মাটি খোড়াখুড়ি হওয়ায় পৌরসভার নলবাহিত পানীয় জলের পাইপ কাটা পড়ে। এতেই বিপত্তি ঘটে। এলাকায় থাকা একটি টিউবওয়েলও বহুদিন অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকায় পানীয় জলের সংকট আরো বেড়েছে। বাধ্য হয়েই এলাকার বাসিন্দারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে থেকে ফাটা পাইপের জল ধরছেন পানীয় জল হিসেবে। যে কোন সময়ে ওই জল থেকে রোগ ছড়াতে পারে শঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।
এব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর নাড়ু ভগত জানিয়েছেন, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করতে গিয়ে পানীয় জলের পাইপ ফেটে গেছে। তাই জলের সমস্যা হয়েছে। তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে টাকা খরচ করে এলাকায় একটি টিউবওয়েল বসিয়েছেন। পৌরসভাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু এই সমস্যা এত তাড়াতাড়ি মিটবে না।এমনকি একটি পানীয় জলের পাইপ ফেটে বেড়িয়ে যাওয়া জলকেই পানীয় জল হিসাবে গোটা এলাকার মানুষ ব্যবহার করছেন।
হারাধনপল্লীর বাসিন্দা দিলীপ মাহাত জানিয়েছেন, বহুদিন ধরে এই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে।কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। একটি মাত্র টিউবওয়েল ছিল। তাও দীর্ঘদিন খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। এমনকি এব্যাপারে তাঁরা বারবার পৌরসভাকে জানালেও সমস্যার কোন সমাধান হয় নি। বাসিন্দা চম্পা মাহাত বলেন, আমরা গরিব মানুষ। জল কিনে খেতে পারবো? বাচ্চারা ওই ভাবে জল ধরতে গিয়ে যেকোনো সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা সুধীররঞ্জন সাউ বলেন, 'স্কুল থাকতে টিচার নেই, তেমনি কল থাকতে জল নেই। তৃণমূল নেতারা টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছে। তাই সবাই টাকা তুলতে ব্যস্ত।নেতা বা কাউন্সিলররা ওয়ার্ডের সমস্যা বা কাজ দেখে না। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাসিন্দারা জল কিনছেন। অথচ কাউন্সিলরের দেখা নেই এলাকায়।'