সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- টেটে সাফল্য বর্ধমানের। পরীক্ষার ফলাফলে প্রথম হয়েছেন বর্ধমান শহরের ইনা সিংহ।মোট দেড়শো নম্বরের মধ্যে ১৩৩ নম্বর নিয়ে রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান পেয়েছেন ইনা।
শুক্রবার টেটের ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে, তাতেই বাজিমাত করেছে বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জের মেয়ে ইনা। টেট নিয়ে লাগাতার আন্দোলনের জেরে স্বচ্ছ পরীক্ষা এবং দ্রুত ফলাফল বের হয়েছে বলেই ধারণা ইনার সিংহের ।
২০০৮ সালে ইনা মাধ্যমিক পাশ করেন হরিসভা হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় থেকে। ২০১২ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে উর্ত্তীণ হন ভালো নম্বর পেয়ে। ২০১৪ সালে ভূপেন্দ্রনাথ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় থেকে ইংরেজি অর্নাস নিয়ে স্নাতক হন ইনা।
ইনার মা কাকলি সিংহ বলেন, ইনা প্রথম থেকেই পড়াশোনায় ভালো। টেট পরীক্ষার সময় দিনরাত এক করে পড়াশোনা করতো।পড়াশোনা ওর ধ্যান জ্ঞান।
বাবা দেবাশীষ সিংহ শারীরিক কারণে কোন কাজ করতে পারেন না।মা কাকলি দেবী গৃহবধূ। কাকলি সিংহ বলেন, বাড়ির সামনে রাস্তার উপরে তিনটি দোকান ঘর ভাড়া দেওয়া আছে।ওই আয় থেকেই সংসার চলে কোনরকমে।
বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কাছে পুরান আমলের টিনের চালার ঘরে বসবাস করেন ইনারা। ইনা বলেন, পরীক্ষা ভাল হয়েছিল। এই ফল হবে আশা করি নি। তবে তিনি জানান ১২৮ নম্বর পাবেন এই আশা তার ছিল।
টেট নিয়ে নানান বিতর্ক। আদালতের মামলার পর মামলা। এই প্রেক্ষাপটে টেট পরীক্ষা হয় ডিসেম্বরে। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে বের হয় ফলাফল। সে জানান, টেট নিয়ে হাজার বিতর্কের মধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছিল সে। তাঁর দাবি; ‘দীর্ঘদিন চাকরি নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলনের কারণেই পরীক্ষায় স্বচ্ছতা এসেছে।
আন্দোলনকারীদের লাগাতার লড়াইয়েই একটা সাফল্য এই পরীক্ষা। তাঁর মতে, লড়াই করেই অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়। লড়াই চলবে। চাকরির ব্যাপারে আশাবাদী ইনা।তিনি বলেন, গন্তব্যে এখনও পৌঁছতে পারি নি। তবে আশায় বাঁচে চাষা।সুতরাং হাল ছাড়লে হবে না।
টেট পরীক্ষা কেন্দ্র গুলিতে এবার ছিল অন্যরূপ। সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয় সেন্টার। ইনার ধারণা এবার পরীক্ষা স্বচ্ছ ভাবেই হয়েছে।