সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- হাতের সামনে 'দিদির দূত' কে পেয়ে একগুচ্ছ দাবি জানালেন রায়না গলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। একইসাথে জানালেন তিনবছর আগেও আবেদন জানালেও স্কুলের বেশ কিছু সমস্যা আজও মেটেনি। সব কিছু শুনে আশ্বাস দিলেন বিধায়ক তথা সভাধিপতি শম্পা ধারা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ নম্বর ব্লকেও শুরু হয়েছে "দিদির সুরক্ষা কবচ" কর্মসূচি। দিদির দূত হিসেবে রায়না বিধানসভার বিধায়ক শম্পা ধারা সহ রায়না ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বামদেব মন্ডল আজ পৌঁছে গেলেন নাড়ুগ্রাম অঞ্চলের বাড়ি বাড়ি। এই এলাকায় এই দুজন নেতার অনুগামীদের মধ্যে বেশ কিছু বিরোধের ঘটনা ঘটছে গত এক বছরে। তবে আজ দুজনেই একসঙ্গে প্রচারে বেরোন।
তারা প্রথমে মন্দির এবং পীরতলায় পুজো দিয়ে গলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে সেখানকার প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন তারা। এমনকি গলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের খাবার কেমন সেটাও পরীক্ষা করে দেখেন বিধায়ক সম্পা ধারা সহ তাঁর দলীয় কর্মীরা। তবে বিদ্যালয় এর পরিকাঠামোগত দিক থেকে কিছু ত্রুটি রয়ে গেছে সেই ত্রুটিগুলো কিভাবে পূরণ করা যায় সেই বিষয়ে সরব হন প্রধান শিক্ষক।
বিধায়ককে সামনে পেয়ে একের পর এক দাবি পেশ করেন প্রধানশিক্ষক। । জানা গেছে; মিড ডে মিল খাওয়ানোর ঘর, মাঠের মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়ে আসার রাস্তা সংস্কার, খেলার মাঠ সংস্কার, সোলার প্যানেল, সাইকেল স্ট্যান্ড তৈরি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিধায়কের কাছে আর্জি জানান প্রধান শিক্ষক কৌশিক চ্যাটার্জি। সমগ্র বিষয়ে খতিয়ে দেখে স্কুলের পরিকাঠামো দিক থেকে কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে চেষ্টা করবেন বলেও আশ্বাস দেন বিধায়ক।
প্রধানশিক্ষক কৌশিক চ্যাটার্জি জানান; হ্যাঁ। বিধায়ককে সব দাবি জানিয়েছি। আমাদের ডাইনিং হল নেই। সেটা উনি আবেদন করতে বললেন।বনতীর থেকে স্কুলে আসার রাস্তার হাল ভাল নয় সেটাও উল্লেখ করেছি।সোলার প্যানেল ; খেলার মাঠ ছাড়াও দাবি জানানো হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের সময় ভোল্টেজের সমস্যার দিকে নজর দেবার।
বিধায়ক নিজেও স্বীকার করেন স্কুলের পড়াশুনার মান ভাল। কিছু পরিকাঠামোর ঘাটতি আছে। খেলার মাঠ; শৌচাগার সহ আরো কিছু বিষয়ে কথা হয়েছে। উনি তিনবছর আগে আবেদন করেছেন। কিন্তু আর কোনো ফলো আপ হয় নি। তাই ওনাকে কয়েকদিন পরে জেলা পরিষদে আসতে বলেছি সমাধানের উপায় নিয়ে কথা বলার জন্য।।