তনুশ্রী চৌধুরী, ,বুদবুদ:- পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ঢুকে পঞ্চায়েতের কর্মীকে মারধরের অভিযোগ।অভিযোগ দেবব্রত ঘোষের নেতৃত্বে এলাকার লোকজন নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে তান্ডব চালায়।বুদবুদ থানার অন্তর্গত গলসি এক নম্বর ব্লকের চাক তেঁতুল গ্রাম পঞ্চায়েতে ঢুকে পঞ্চায়েতের এক কর্মীকে মারধর করা হয়।সোমবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েতের মধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পঞ্চায়েত কার্যালয়ের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন পঞ্চায়েত কর্মীরা ও দেবব্রত ঘোষের দলবল।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বুদবুদ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
দেবব্রত ঘোষের অভিযোগ তিনি এলাকার মানুষের সমস্যা নিয়ে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। এলাকার মানুষ পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।সেই সময় পঞ্চায়েতের কর্মী তাকে মারধর করে।
চাক তেতুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক ভট্টাচার্যের অভিযোগ দেবব্রত ঘোষ একজন ঠিকাদার।তিনি পঞ্চায়েতের একটি কাজ করেছিলেন ঠিকা নিয়ে। কিন্তু সেই কাজের বকেয়া টাকা নিতে আসে সোমবার দুপুরে।যেহেতু উনি নির্ধারিত সময়ের পরে কাজ সম্পন্ন করেছেন তাই তার বকেয়া টাকা মেটাতে দেরি হয়।
পঞ্চায়েতের ফান্ডে টাকা না থাকার কারণে তার কাছে পঞ্চায়েতের কর্মী সময় চেয়ে নেওয়ার অপরাধেই দেবব্রত বাবু দলবল নিয়ে পঞ্চায়েতের কর্মীর উপর হামলা চালায় এবং এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি করে।এমনকি পঞ্চায়েতের সামনে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ তোলেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অশোক ভট্টাচার্য।
তৃণমূল পরিচালিত চাক তেঁতুল গ্রাম পঞ্চায়েতে হাতাহাতি ও বোমাবাজির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। যদিও রাজনৈতিক মহল এই বিষয়টিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই আখ্যা দিয়েছেন।বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ সভাপতি রমন শর্মা বলেন লুটেদের রাজ চলছে।ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্ধ।মানুষ সবই দেখছে।