তনুশ্রী চৌধুরী,দুর্গাপুর:- কনকনে ঠান্ডায় যখন কাঁপছে শহরবাসী তখন খালি গায়ে ভোর রাতে সাইকেল চালিয়ে প্রতিদিনের মতো প্রাতঃভ্রমণে ৬৫ বছরের শুহাশিস চক্রবর্তী।শুহাশিস চক্রবর্তী দূর্গাপুর এর আড়া কালিনগরের বাসিন্দা। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সবসময় ভোর রাতে চারটার সময় চার লিটার হালকা গরম জল পান করে ৫০ টি ডন বৈঠক করে গায়ে সরষে তেল মেখে ফুল স্পিডে সাইকেল চালান ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার রোজ খালি গায়ে।
তা শীত গ্রীষ্ম বর্ষা যে কোন কালই হোক না কেন এটি তার প্রতিদিনের নিয়মমাফিক প্রাতঃভ্রমণ।তাকে দেখে অবাক হন শহরবাসী, আড়া কালিনগরের বাড়ি থেকে সাইকেল চালিয়ে দুর্গাপুরের ভগৎ সিং মোড় হয়ে অমরাবতী মোড় হয়ে মুচিপাড়া হয়ে বাড়ি ফেরেন। ৬৫ বছর বয়সে তার এই শারীরিক ভেলকি দেখে অবাক সকলে।
তিনি জানান হুগলি জেলার বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে তিনি দুর্গাপুরে। ছিলেন সি আর পি এফ এর অফিসার ১৯৮১ সালে জয়েন করেন এবং ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অবসর নেন। এর পরই তিনি সিআরপিএফের দুর্গাপুরের ক্যাম্প আবাসন থেকে উঠে আসেন আড়া কালিনগর এলাকায়। বাড়িতে তার স্ত্রী সহ দুই ছেলে এবং বড় ছেলের পত্নী এবং একটি নবজাতক শিশু রয়েছে এই তার সংসার।
তিনি বলেন যতক্ষণ গতর আছে ততক্ষণ শরীরের কদর আছে। শরীর ঠিক রাখতে গেলে নিয়মমাফিক খাওয়া দাওয়া করতে হবে এবং তা অবশ্যই শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগত খাবার । সারাদিনের তার নিয়ম এবং রুটিন মাফি খাবারের মধ্যে অবশ্যই ব্রেকফাস্ট হয়ে থাকে ২৫ গ্রাম আদা আর বেশ কয়েক কোয়া রসুন যা তার শরীরে কর্মক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে ।ওষুধ পত্র ডাক্তার থেকে তিনি দশ হাত দূরে থাকেন। নতুন প্রজন্মের কাছে শরীরকে সুস্থ রাখার বার্তা পৌঁছে দিতে চান তিনি।