Type Here to Get Search Results !

উচ্চ আদালতের নির্দেশে পানাগড়ে কমিউনিটি হলের দখল পেলো বিদ্যালয়





তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:- পানাগড়ের কমিউনিটি হল অবশেষে পানাগড় বাজার হিন্দি হাই স্কুলের অধীনে এলো।আর যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানুত্তর।সোমবার লিখিত ভাবে জমির দখল নেওয়ার জন্য সাহায্য চেয়ে কাঁকসা থানা ও কাঁকসার বিডিওর দ্বারস্থ হন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা সমিতির সদস্যরা।







বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রেখা অগস্থির দাবি পানাগড় বাজারে যে কমিউনিটি হল তৈরি হয়েছে সেটি বিদ্যালয়ের জমির উপরেই নির্মিত।তারা দীর্ঘ কয়েক বছর সেই জমি নিজেদের দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন।গত কয়েকদিন আগেই উচ্চ আদালত তাদের পক্ষে রায় দেয়।এবং সেই রায়দানের নথি সহ তারা সোমবার কাঁকসা থানায় জমা দেন এবং কাঁকসা থানার কাছে যাতে জমি অধিগ্রহনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা না আসে সেই বিষয়ে সাহায্য চেয়ে তারা লিখিত আবেদন করেছেন।









যদিও কাঁকসা থানার পক্ষ থেকে তাদের স্পষ্ট জানানো হয়। উচ্চ অধিকারিকের নির্দেশ পেলেই তারা সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত।এর পাশাপাশি কাঁকসার বিডিওকেও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে লিখিত ভাবে জানানো হয় সোমবার।









কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দেবদাস বক্সীর দাবি কমিউনিটি হল টি নির্মিত হয়েছিলো বাম জামানায়।বিদ্যালয়ের জমির উপরে কোনো লিখিত চুক্তি না করেই তৎকালীন বাম সরকারে থাকা কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতি কমিউনিটি হলের নির্মাণ করে।সেই কমিউনিটি হলটি বছরে ১৫হাজার টাকা চুক্তিতে 'বিকল্প' নামের একটি সংগঠনকে দায়িত্ব দেয়।সেই সময় লিখিত চুক্তি করে বিদ্যালয় কেও একটা ভাগ দিলে আজ এই সমস্যায় পড়তে হতো না।







তবে কমিউনিটি হল টি তৈরি করতে পঞ্চায়েত সমিতির খরচ হয়েছে। যদি বিদ্যালয় নিজেদের দখলে নেয় সেক্ষেত্রে সেই খরচের কি হবে।ধরে নিতে হবে সমস্ত টাকাটাই জলে গেছে।'বিকল্প' নামের সংস্থার মুনাফা করতে গিয়ে বড় সর দুর্নীতি করেছে বামেরা এমনই অভিযোগ তার। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়সড় অশান্তির শুরু হওয়ার আভাস পাচ্ছেন তিনি।










কারণ ২০১৬ সালের পর থেকে ওই কমিউনিটি হলের দায়িত্ব নেয় তৃণমূলের সরকারে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতি। ফলে পঞ্চায়েত সমিতির টাকায় নির্মিত কমিউনিটি হলের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ তুলে বড়সড় অশান্তি শুরু হতে পারে বলে তার অনুমান।









যদিও দুর্নীতির কথা মানতে নারাজ পশ্চিম বর্ধমান জেলার সিপিআইএম এর জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বিরেস্বর মন্ডল। তিনি বলেন 'কমিউনিটি হলের জায়গা যদি বিদ্যালয়ের হয়, আর বিদ্যালয় নিজেদের জমির দখল নিলে তাতে সমস্যা কোথায়।











বর্তমানে কমিউনিটি হল টি প্রায় ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছে। যার কারণে কোনো অনুষ্ঠান করার জন্য মানুষ আর ওই কমিউনিটি হল ভাড়া করতে চান না। সরকারি সম্পত্তি সরকারের হাতে গেলে তাতে কারোর কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad