শুভময় পাত্র, বীরভূম :- সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হল বগটুই গণহত্যা কান্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখ। বীরভূমের রামপুরহাটে জাতীয় সড়কের পাশে পান্থশ্রী সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসের মৃত্যু হয় লালনের। কিভাবে মৃত্যু ! ধোঁয়াশ দানা বেঁধেছেন লালনের মৃত্যুকে ঘিরে।
চলতি বছর একুশে মার্চ রামপুরহাটে জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে গুলি ও বোমা মেরে খুন করা হয় রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ কে। প্রতিশোধে সেদিন রাতেই নারকীয় হত্যালীলা চলে বগটুইয়ে। মহিলা, শিশু সহ ১০ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। দিনের আলো ফুটতেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় গোটা রাজ্য রাজনীতি।
নয় মাস ফেরার থাকার পর বীরভূম লাগোয়া ভিন রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রামপুরহাট গণহত্যাকাণ্ডের নায়ক লালন শেখকে। চার তারিখে রামপুরহাট আদালতে তুলে সিবিআই। ছয় দিন সিবিআই হেফাজত পাই। ফের ১০ তারিখে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে তিন দিনের রিমান্ড পেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর মধ্যেই সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর খবর এলো লালনের। বগটুই গণহত্যা কান্ডে মোট ২৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
রামপুরহাট গণহত্যাকাণ্ডে সিবিআইয়ের হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন কিভাবে মৃত্যু হল লালনের ? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কারণ লালন শেখ কোন সাধারন অপরাধী নয়। খুব স্বাভাবিকভাবেই সিবিআই হেফাজতে থাকা লালন শেখের রহস্যজনক মৃত্যু তদন্ত কে করবে রাজ্য সরকারের তদন্তকারী সংস্থা ? নাকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ? তা অবশ্য সময় বলবে। তবে রামপুরহাট গণহত্যাগণ্ডের মতো ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু কি কারনে হয়েছে পরিষ্কার হতে চাই সাধারণ মানুষ ও।