সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে ফের শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এলো।শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকেই টান টান উত্তেজনা ছিল।অশান্তি এড়াতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় জামালপুর বিডিও অফিস চত্বরে। শেষ পর্যন্ত উতপ্ত আবহাওয়ার মধ্যে নতুন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেন ভূতনাথ মালিক।
৩৯ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের মধ্যে ১৪ জন সদস্য ভোটদান থেকে বিরত থাকেন।ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন।শেষ পর্যন্ত ২২ জন সদস্যের ভোটে প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক সভাপতি নির্বাচিত হন।
সমিতির সদস্য অরবিন্দ ভট্টাচার্য বলেন, যে প্রক্রিয়ায় ভোট হচ্ছে তা তারা মানতে পারছেন না।কারণ ভোটের গোপনীয়তা থাকছে না।কোন সদস্য কাকে ভোট দিলেন তা জানা যাবে।কারণ ব্যালটের পিছনে ভোটদাতাকে স্বাক্ষর করতে হবে।সেই জন্য তারা ভোটদানে বিরত থাকছেন। জামালপুর পঞ্চায়েত সদস্য প্রদীপ পাল বর্তমান ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহমুদ খানের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বলেই পরিচিত। তিনিও একই কথা বলেন।
এখানে উল্লেখ্য এক ব্যক্তি এক পদ নীতির জন্য মাস কয়েক আগে জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকে মেহমুদ খান পদত্যাগ করেন দলের নির্দেশ মেনে।তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পাশাপাশি একসঙ্গে জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন।
তারই অনুগামী হিসেবে পরিচিত ভূতনাথ মালিককে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।বিদায়েই সভাপতি মেহমুদ খান বলেন দলই ঠিক করেছিল ভূতনাথ মালিক সভাপতি নির্বাচিত হবেন।কিন্তু দলের কিছু সদস্য সেই নির্দেশকে অমান্য করায় ভোটাভুটি হল।১৪ জন ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। গোটা বিষয়টি তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাবেন।
নবনির্বাচিত সভাপতি ভূতনাথ মালিক বলেন, তিনি জামালপুর মানুষের পাশে থেকে কাজ করবেন।সভাপতি নির্বাচনের জন্য জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝিও উপস্থিত ছিলেন বিডিও অফিসে।তবে তিনি জানান দলে কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই।